
আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৪ ফেব্রুয়ারি: আদালত ও প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ই’রিক্সা চালকদের হেনস্থার অভিযোগ উঠল বালুরঘাট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। শহর জুড়ে অবৈধ টোটো দাপিয়ে বেড়ালেও হুঁশ নেই বালুরঘাট থানার। গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ই’রিক্সা চালকরা। ঘটনা নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় সরব তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিও। পুলিশ কেন এমন ধরপাকড় করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকও। অভিযোগ, এক দুটি ই’রিক্সা কোম্পানিকে টাকার বিনিময়ে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিতেই বালুরঘাট থানার পুলিশের এমন কাজকর্ম।
আদালতের নির্দেশে বালুরঘাট শহর জুড়ে অবৈধ টোটো বন্ধে মাঠে নামে আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর। গত মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশকিছু অবৈধ টোটো আটকও করা হয় আর.টি.ও প্রশাসনের তরফে। তবে বৈধ ই’রিক্সাগুলিকে একটি বিশেষ স্লিপ ইস্যু করে রেজিস্ট্রেশনের জন্য বাড়তি সময় দেওয়া হয় সরকারি ওই দপ্তরের তরফে। তার পরেও বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আচমকা প্রশাসন ও আর.টি.ও’কে অন্ধকারে রেখে বালুরঘাট থানার পুলিশ রাস্তায় নেমে বেশকিছু বৈধ ই’রিক্সাকে আটক করে বলে অভিযোগ। যেগুলির সিজার লিস্ট বানিয়ে কোর্টেও পাঠানো হয় শুক্রবার। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বালুরঘাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক ইরিক্সা চালক। লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছে অতিরিক্ত জেলা শাসক, আর.টি.ও সহ একাধিক আধিকারিকের কাছেও। শুক্রবারও ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গাড়ি বন্ধ করে বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ই’রিক্সা চালকরা সহ বেশ কিছু ডিলার। শহর জুড়ে অবৈধ টোটো দাপিয়ে বেড়ালেও বেছে বেছে কেন বৈধ ই’রিক্সাগুলিকে পুলিশ আটক করছে তা নিয়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন ইরিক্সা চালকদের একাংশ।
রিন্টু সরকার, সৌগত ঘোষ এবং দীপক সরকার নামে ই’রিক্সা ডিলার ও চালকরা জানিয়েছেন, পুলিশ ইচ্ছে করে হয়রানি করতে এমন কান্ড করছে। বৈধ ভাবে গাড়ি কিনেও কেন এমন হয়রানি করা হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
আর.টি.ও সন্দীপ সাহা জানিয়েছেন, পুলিশ কেন এমনটা করছে তা তাঁর জানা নেই। ধরপাকড়ের বিষয়ে জেলা শাসকের কোনও নির্দেশ তিনি পাননি। তাই পুলিশই বলতে পারবে কেন ই’রিক্সাকে ধরা হচ্ছে। রেজিষ্ট্রেশনের জন্য তাদের সময়সীমা দেবার জন্যই একটি স্লিপ ইস্যু করা হয়েছে দপ্তরের তরফে।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মজিরুদ্দীন মন্ডল জানিয়েছেন, বৈধ গাড়ি পুলিশের কখনোই ধরা উচিত নয়।