শ্রীরূপা চক্রবর্তী, আমাদের ভারত, ২৮ এপ্রিল : ত্রান বিলি করে ফেরার পথে আবার বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে আটকে দিল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে গঙ্গারামপুরে ঠ্যাংপাড়ায় ত্রাণ বিলি করে ফেরার পথে রামপুরে পুলিশ বিজেপি সাংসদের গাড়ি আটকায়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি সাংসদ। পরে পুলিশ এসকর্ট করে তাকে বাড়িতে ঢুকিয়ে রেখে আসেন। নিজের সঙ্গে হওয়া এই পরপর দুটি হেনস্থার ঘটনা তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ উচ্চ পর্যায়ে জানাবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ।
সাংসদ জানান, এদিন সকালে তিনি তার ড্রাইভার,ও সিকিউরিটি গার্ডকে নিয়ে গঙ্গারামপুরে ত্রাণ বিলি করতে যান। ভিড় এড়াতে ও সামাজিক দূরত্বের বিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয় তার জন্য খুব অল্প সময়ের জন্য তিনি ত্রাণ বিলি করে সেখানে থেকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য রওনা দেন। কিন্তু রামপুরে নাকা চেকিং -এ পুলিশ তাকে আটকায়। সাংসদের অভিযোগ পুলিশ তাকে বলে তিনি যেখান থেকে আসছেন সেখানেই তাকে ফিরে যেতে হবে। সাংসদ তার প্রতিবাদ করে বলেন তিনি নিজের বাড়িতে ফিরবেন। কিন্তু পুলিশ তার কথা না শোনায় বাধ্য হয়ে তিনি রাস্তার ওপর বসে পড়েন। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর তাকে পুলিশ রীতিমতো এসকর্ট করে তার বাড়িতে রেখে আসে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে গত ২৩ তারিখ নাগাদ হিলি যাওয়ার পথে মঙ্গলপুরের কাছে বালুরঘাটের সাংসদকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। রাজ্যপালের হস্তাক্ষেপের পরেও সাংসদকে যেতে দেওয়া হয়নি। এমনকি সেদিনই তাকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনের নোটিশ ধরানো হয়েছিল।
কিন্তু ওই নোটিশের পাল্টা চিঠি দিয়ে সাংসদ দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে যে ৮-১০ জন লোক নিয়ে হিলি যাওয়ার অভিযোগ করেছে প্রশাসন তা প্রমাণ করে দেখাক। রাস্তায় একাধিক জায়গায় সিসিটিভি রয়েছে সেই ফুটেজ দেখিয়ে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করুক। সুকান্ত মজুমদার বলেন, প্রশাসন আজ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারেনি।
বিজেপি সাংসদ জানান, একমাস আগেই তিনি দিল্লি থেকে ফিরে এসেছেন এবং নিজেকে ১৪ দিন গৃহবন্দী রেখেছিলেন। কিন্তু এরপর যখনই তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তখনই তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, হেনস্থা করা হচ্ছে।
একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি যাতে মানুষের কাছে পৌঁছাতে না পারেন তার জন্যই এই ব্যবস্থা করছে রাজ্যের শাসক দল বলে দাবি করেছেন তিনি। সাংসদ বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি, জনগণের দেখভালের অধিকার সংবিধান আমাকে দিয়েছে এবং সেটা আমার দায়িত্ব।
বিজেপি সাংসদের অভিযোগ তাকে এভাবে পুলিশ বার বার আটকালেও তৃণমূলের জেলা সভাপতি ২০ তারিখে কলকাতা থেকে ফিরে কোন প্রকার কোয়ারিনটাইনে না থেকে জেলা জুড়ে লকডাউনের নিয়মকে উপেক্ষা করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ সেক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।