আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৬ এপ্রিল: কাকদ্বীপে করোনায় আক্রান্ত তিন এলাকা পরিদর্শন করলেন সুন্দরবন পুলিশ জেলার এস পি বৈভব তিওয়ারি। শনিবারই কাকদ্বীপের বাসিন্দা তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির বিষয়টি সামনে আসে। তারপরেই কাকদ্বীপের বেশ কয়েকটি এলাকাকে একেবারে সিল করে দেওয়া হয়। এলাকার মানুষজনকে বাড়ির বাইরে বের হতে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে কাকদ্বীপের বামানগর, বৈকুণ্ঠপুর ও গোবিন্দনগর এলাকায় গিয়ে সেখানকার মানুষের সাথে কথা বলেন পুলিশ সুপার। মানুষকে করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে বোঝান ও তাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত খাবার সরকারি উদ্যোগে এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার। যাতে কোনও ভাবেই এলাকার কোনও মানুষ বাইরে না যান সেই নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশের তরফ থেকে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে শনিবার জানা যায়, কাকদ্বীপের বাসিন্দা তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছে। সেই থেকেই কাকদ্বীপ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। আগে থেকেই এই কাকদ্বীপ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই মতো কাকদ্বীপের বিভিন্ন রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়েছিল। এলাকায় নাকা চেকিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম বড় সবজি, মাছ ও পানের পাইকারি বাজার হওয়ার কারণে এই এলাকায় বহু মানুষ জেলা তথা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন। সেখান থেকে সংক্রমণ এই এলাকায় ছড়াতে পারে বলে আগে থেকেই সতর্ক হয়েছিল প্রশাসন। শনিবার যেন প্রশাসনের সেই আশঙ্কা সত্যি হয়।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে তিনজন এই এলাকার করোনা আক্রান্ত বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়। আর এরপর থেকে পুলিশ প্রশাসন আরও নড়েচড়ে বসে। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত এলাকার মানুষের শরীরে করোনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে সেই সমস্ত এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এলাকার সমস্ত মানুষজনকে সম্পূর্ণ ভাবে বাড়ির মধ্যে থাকতে বলা হয়েছে। কোনও অবস্থাতেই যেন কেউ বাড়ির বাইরে না বের হন সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আক্রান্তদের পরিবারদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।