করোনাযুদ্ধে উধাও রাজনৈতিক বিরোধিতা, লকডাউনের প্রশংসায় প্রদেশ কংগ্রেসও

চিন্ময় ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ২৪ মার্চ: নবান্নের সর্বদল বৈঠকে সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে করোনাযুদ্ধে প্রশাসনকে শক্তিশালী করেছিলেন বিরোধীরা। এবার বিবৃতি দিয়ে লকডাউনের প্রশংসা করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রশাসনের হাত শক্ত করল প্রদেশ কংগ্রেস। মঙ্গলবার দুপুরে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে সভাপতি সোমেন মিত্রর একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়। সেই বিবৃতিতে লকডাউনের প্রশংসা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সোমেন মিত্র বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যেভাবে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা সারা দেশে লাফিয়ে বাড়ছে, তার মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত লকডাউনের সিদ্ধান্ত অভিনন্দনযোগ্য। সংক্রমণ ছড়ানোর বিরুদ্ধে এটাই একমাত্র পথ।’

এই বিবৃতিতে লকডাউন ভঙ্গকারীদের কঠোর নিন্দাও করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই সক্রিয় হয়ে উঠেছিল প্রশাসন। লকডাউন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার পরও এদিন বহু মানুষকে লকডাউন ভঙ্গ করতে দেখা গিয়েছে। যার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে ফের প্রশাসনের পাশে দাঁড়াল প্রদেশ কংগ্রেস। সোমেন মিত্র বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কিছু মানুষ লকডাউনের তোয়াক্কা না-করে রাস্তাঘাটে বেরিয়ে পড়ছেন। তাতে আমরা শঙ্কিত। মানুষ যদি এই মহামারীর প্রকোপ সম্বন্ধে বুঝতে না পারে তবে পাঞ্জাবের মত কারফিউ ঘোষণা করতেই হবে। সেক্ষেত্রে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহের জন্য পাঞ্জাবের মত দিনে কোনও একটি সময় স্থির করে দেওয়া হবে।’

এই পরিস্থিতিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কালোবাজারি, মজুতদারির অভিযোগ উঠেছে। এদিন বিবৃতিতে সেই কালোবাজারি, মজুতদারির বিরুদ্ধেও সরব হন সোমেন মিত্র। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের কাছে অনুরোধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবারহের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। বাজারে জিনিসপত্রের দাম যেভাবে লাগামছাড়া হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া মানুষের এই দুর্ভোগ কমবে বলে আমরা মনে করি না।’

রাজ্য সরকার যেভাবে এই করোনা-পরিস্থিতিতে রাজ্যের দরিদ্র মানুষের পাশে বিশেষভাবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এদিন সরকারের সেই ভৃমিকারও প্রশংসা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বিনামূল্যে গরিব মানুষের জন্য চাল, ডাল সরবারহ করার সরকারি ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। এর সঙ্গে এইসব মানুষকে অন্য রাজ্যের মত আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্যও আবেদন করছি। কারণ, এইসব পরিবার নির্ভর করে তাঁদের প্রতিদিনের উপার্জনের ওপর।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *