গোবরগাঙার প্রেরণা পাল উচ্চ মাধ্যমিকে চতুর্থ

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৪ মে: বাবা–মা দু’জনেই শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। অথচ নিজে শিক্ষক হতে চান না এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় চতুর্থ প্রেরণা পাল। এই ভাবনাটা অবশ্য শেষ দু–তিন বছরের। এর পেছনেও রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ। নিজের এমন ভবিষ্যৎ ভাবনার কারণও জানালেন প্রেরণা।

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ইছাপুর হাইস্কুলের ছাত্রী প্রেরণার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। বাবা অশোক পাল ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক। মা মিলি পালের বিষয় ইংরাজি। তিনিও স্কুল শিক্ষিকা। প্রেরণাদের বাড়ি গোবরডাঙা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। একসময় শিক্ষকতা করার ইচ্ছে থাকলেও রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যা চলছে, তাতে হতাশ প্রেরণা। তাঁর মতে, শিক্ষকেরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। আর সেই শিক্ষকতার চাকরি পেতে গিয়ে শিক্ষিত যুবক–যুবতীদের দিনের পর দিন রাস্তায় ধর্না দিতে হচ্ছে। এটা তাঁকে ব্যাথিত করছে। আর তাই তিনি শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছে পরিত্যাগ করে সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করে গবেষণা করতে চান।

ছোটবেলা থেকেই শিক্ষকতা করার তীব্র ইচ্ছে ছিল প্রেরণার। কিন্তু বর্তমানে সেই ইচ্ছে বদলে গেছে। এমনই জানালেন প্রেরণার বাবা অশোক পাল। মেয়ের এই সাফল্যের পেছনে স্কুলের শিক্ষক–শিক্ষিকা এবং গৃহশিক্ষকদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে বলে তিনি জানালেন। পড়াশোনার প্রতি আগাগোড়াই আগ্রহ প্রেরণার। পাঠ্যবই পড়তে পড়তে ক্লান্ত লাগলে গল্পের বই পড়ে ক্লান্তি দূর করেন তিনি। উপহার হিসেবে বইকেই বেশি পছন্দ করেন প্রেরণা। এমনই জানালেন প্রেরণার মা মিলি পাল। মেয়ের বাংলা এবং ইংরাজি বিষয়টি তিনিই দেখিয়ে দিতেন। টেষ্ট পরীক্ষার আগে দৈনিক ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পড়াশোনা করেছেন প্রেরণা। টেষ্ট পরীক্ষার পর সেই সময়টা বেড়ে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা হয়ে যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি পছন্দ তাঁর। আর সেটি সারা জীবন বজায় রাখতে চান তিনি। তাঁর এই সাফল্যে খুশি তাঁর সহপাঠী থেকে শুরু করে শিক্ষক–শিক্ষিকারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *