
আমাদের ভারত, ২০ মার্চ: সোমবার সকালে দিল্লি যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের সাংসদ, জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেপ্তারি থেকে সাগরদিঘি নির্বাচনে হার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের বৈঠক, নিয়োগ দুর্নীতি, সুকন্যার হাজিরা এড়ানোর মতো একাধিক বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন তিনি।
তৃণমূলের পুরাতন নেতারা দিনে দিনে সাইডে চলে যাচ্ছেন। আর অভিষেকের হাতেই দলের রাশ চলে যাচ্ছে। এই বিষয়ে নিয়ে কটাক্ষ করেন সুকান্ত। পুরনো তৃণমূল নেতাদের প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেছেন, আদি তৃণমূল যারা দল তৈরি করেছিলেন তাদের আস্তে আস্তে সাইড লাইন করে ভাইপোর হাতে দল তুলে দেওয়া হচ্ছে। মমতার বাড়িতে হওয়া বৈঠকে সুদীপ ববি বসেছিলেন। তাদের জ্ঞান দিচ্ছিলেন দিদির মতো স্টাইলে শাড়ি পরা সায়নী ঘোষ। যিনি দু’বছর হল পার্টিতে এসেছেন। এটা দেখে আমারই খারাপ লাগছে।
কম্বল প্রদান অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হবার ঘটনায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে নেওয়া প্রশাসনিক পদক্ষেপ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, বোঝাই যাচ্ছে প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ এটা। কদিন আগে চিঁড়ে উৎসবে কত মানুষ চিঁড়ে চ্যাপ্টা হয়ে গেল। যারা উৎসব করলেন তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হলো না। জিতেন তিওয়ারির অনুষ্ঠানে যত জন মারা গেছে তার থেকে বেশি চিঁড়ে উৎসবে মারা গিয়েছিল। এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন?
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বশাসিত সংস্থা তাদের ব্যাপারে কোনো রাজনীতিবিদ বা সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
প্রাইমারি নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে নতুন করে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ বলেছেন, সমস্ত নিয়োগেই দুর্নীতি হয়েছে। এখন যিনি শিক্ষামন্ত্রী তার নিজের লোক বলেছে ব্রাত্যবাবু এই গলিতে এতো, ওই গলিতে এতো চাকরি দিয়েছেন। সব খুলতে দিন। বর্তমান প্রাক্তন কোনো শিক্ষা মন্ত্রী বাদ থাকবে না সব তিহার জেলে মিটিং করবে।
অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, বাবার পথ অনুসরণ করছে, বাবার মতোই অবস্থা হবে।