সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৫ জুন: দুই মেন্টরকে না জানিয়েই পুরুলিয়া জেলা পরিষদের বার্ষিক বাজেট পেশ হয়ে গেল। খসড়া তৈরীর সময় দুই মেন্টরের থেকে কোনও পরামর্শ নেয়নি প্রশাসন বলে অভিযোগ। পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে বলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্রভাবে অভিযোগ করেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের কো-মেন্টর জয় ব্যানার্জি। এদিন তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলা পরিষদের উন্নয়নমূলক অন্যান্য কাজের পরামর্শদাতা হিসেবে আমাদের বসানো হয়। অথচ জেলা পরিষদের কোনও কাজেই আমাদের থেকে পরামর্শ নেয়া হয় না। এদিন খানিকটা অবাক করা হয় আমাদের। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অবজ্ঞা করা হয়েছে এখানে।’ প্রশাসনের এই ধরনের আচরণের বিরোধিতা করে দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো জানান বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী কেউ জানানো হয়েছে।
এদিনের বাজেট পেশ করার সময় উপস্থিত ছিলেন সভাধিপতি সহ তৃণমূল কংগ্রেসের ২৮ জন সদস্যই। ছিলেন বান্দোয়ানের বিধায়ক। দলের স্থানীয় সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে আমন্ত্রণপত্র না দেওয়ায় বাজেট সভা বয়কট করেন বিজেপির ৮ জন সদস্যই। এ কথা জানান, জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা অজিত বাউরী। অথচ বাঁকুড়া কেন্দ্রের সাংসদকে বাজেট সভায় উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এদিন বাঁকুড়ার সাংসদ ডাক্তার সুভাষ সরকার প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আমাকে গত বছরের কোনও আয়-ব্যয়ের খতিয়ান দেওয়া হয়নি একই সঙ্গে খসড়া বাজেটের তথ্য দেয়া হয়নি। জানানো হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া অর্থে কোন প্রকল্পের কাজ কতটা হয়েছে। আর এই কারণেই আমি বাজেট সভায় উপস্থিত থাকিনি।
জেলার উন্নয়নকে সুচারু রূপে আরও ত্বরান্বিত করতে বসানো হয় দুই মেন্টরকে। কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকরী হয়নি বলে অভিযোগ ওই দুই পরামর্শদাতার। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি ভিত্তিক ২০২০-২০২১ বর্ষের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের খতিয়ান পেশ করা হয়। গত বর্ষের বাজেটের শতকরা ১০% বৃদ্ধি করে সম্ভাব্য মোট খরচ ধরা হয় ২৬০ কোটি ৬৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩১৫ টাকা ১৮ পয়সা।