আমাদের ভারত, ২৩ জুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রেকর্ড ভোটে জেতার লক্ষ্য বিজেপির। তাই একেবারে মনোনয়ন পর্ব থেকে শক্তি প্রদর্শন শুরু করবে পদ্ম শিবির। ২৪ জুন শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেবেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেদিন দিল্লিতে হাজির থাকবেন বিজেপি শাসিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। শুধু তাই নয় রাষ্ট্রপতি পদের দ্রৌপদীর প্রস্তাবক হিসেবে নাম থাকতে চলেছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
পদ্ম শিবির মনে করছে দ্রৌপদী যে জিতবেন তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। সংখ্যার বিচারে তারা বিরোধীদের প্রার্থীর থেকে অনেকটাই এগিয়ে। তার উপর আবার বিরোধী শিবির এখন ছন্নছাড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কারণ মহারাষ্ট্রে সরকার বাঁচাতে ব্যস্ত শরদ পাওয়ার।
আবার অন্যদিকে বিরোধী শিবিরে থাকলেও সম্ভবত আদিবাসী প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করবে
জেএমএম। বিজেডি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসও বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা ইতিমধ্যেই করেছে।
অনেক আগে থেকেই বিজেপি কাজ শুরু করেছিল এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে। দেশের সমস্ত রাজ্যের নির্দল বিধায়ক সাংসদদের ভোট যাতে এনডিএ প্রার্থীর পক্ষে আসে তার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে তারা অনেক আগে থেকেই। আগেই তারা তালিকা ঠিক করে ফেলেছিল, কোন রাজ্যে কতজন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন। কতজন নির্দল সাংসদ রয়েছেন। দ্রৌপদী মুর্মু নাম ঘোষণার পড়েই সেই তালিকা মিলিয়ে কাজ শুরু করেছে পদ্ম শিবির।
একইসঙ্গে বিরোধী শিবিরে থাকা বিধায়ক সাংসদদের ভোট কিভাবে এদিকে আনা যায় তার রণকৌশলে তৈরি করে ফেলেছে বিজেপি। এক্ষেত্রে আদিবাসী ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে ঝাড়খন্ড, ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মতো আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্যের বিধায়কদের সমর্থনও আদায়ের টার্গেট করা হয়েছে বিজেপির তরফে। আদিবাসী সমাজের একজন দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে বসতে চলেছেন। আদিবাসীদের সেই ভাবাবেগকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে বিজেপি।
গোপন ব্যালটে ভোট হবে ফলে বোঝার উপায় থাকবে না কে বিজেপির প্রার্থীকে ভোট দিল। জানা গেছে আদিবাসী ভোট টানতে আদিবাসী অধ্যুষিত ছয়টি রাজ্যে দ্রৌপদী মুর্মু দু’দিন করে প্রবাস কর্মসূচিও পালন করবেন।