
আমাদের ভারত, ২৮ মার্চ: মূল্য বৃদ্ধির চাপে বিধ্বস্ত আমজনতার আরও দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে নয়া অর্থবর্ষ থেকে বাড়তে চলেছে অত্যাবশকীয় ওষুধের দাম। ১ এপ্রিল থেকে ব্যাথা নাশক, অ্যান্টি ইনফেক্টিভ, হৃদরোগের ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক সহ ৮০০ রকম ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে বলে জানাগেছে।
গড়ে বারো শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে যাবতীয় ওষুধের দাম। সোমবার এই কথা কেন্দ্র সরকারের সার ও রসায়ন মন্ত্রকের অধীনস্ত ন্যাশনাল ফার্মাসিটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটির সূত্রে খবর। গত বছর ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি ১০.৭ হাড়ে ওষুধের মূল্য বৃদ্ধিতে অনুমতি দিয়েছিল। সরকার বার্ষিক পাইকারি মূল্য সূচক পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম বৃদ্ধির অনুমতি দিতে প্রস্তুত বলে জানাগেছে।
ড্রাগস প্রাইস কন্ট্রোল ২০০৩ এর নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছরে ওষুধের পাইকারি মূল্য পরিবর্তন হয়ে থাকে। কেন্দ্রের অনুমতির পর ওষুধ কোম্পানিগুলি তাদের পণ্যের দাম বাড়ায়। যার প্রভাব পড়ে কম বেশি ৮০০ ওষুধের ওপর। চলতি বছরে ৩৮৪টি মলিকিউলের দাম প্রায় ২৭টি থেরাপির ৯০০ ফর্মুলেশনের সঙ্গে মিলে যায়, তার দাম ১২ শতাংশ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর মূল্য বৃদ্ধির হার অ-নির্ধারিত ওষুধের ক্ষেত্রে অনুমোদিত হারের তুলনায় বেশি। অন্য নন সিডিউল্ড ড্রাগ, যার দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে তার দাম বাড়ার হার প্রতি বছর ১০% নির্ধারিত। ডব্লিউ পি আই এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০২১ সালে এই বৃদ্ধির হার ছিল দশ শতাংশের বেশি। সাধারণত এই দাম বৃদ্ধির হার খুব কম হয়ে থাকে।