আমাদের ভারত, ১৩ আগস্ট: ভারতীয় রেলের
বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছে। গুটি গুটি পায়ে শুরু হয়েছে তার প্রস্তুতি পর্বও। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি সংস্থা উদ্যোগে দেশজুড়ে ১০৯ টি রুটে ১৫১টি ট্রেন চালানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। প্রতিটি ট্রেনে ১৬ টি করে কোচ থাকবে। নিলামের মাধ্যমে সংস্থাগুলিকে বেছে নেওয়া হবে। এরফলে ৩০ হাজার কোটি টাকা লগ্নি আসবে বলে আশাবাদী রেল কর্তারা।
তবে বেসরকারি সংস্থা গুলি যেনো ভারতে তৈরি ট্রেনের কোচ কেনেন সে বিষয়েও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, বেসরকারি এই ট্রেনগুলি ভাড়া কিছুটা বেশিহবে। তবে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য ও পরিষেবা নিয়ে যাতে কোনো অভিযোগ না তৈরি হয় তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বেসরকারি সংস্থাগুলি।
মেট্রো রেল বা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মত বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা এবং আধুনিকীকরণের নজর দেওয়া হচ্ছে এই ট্রেন গুলিতে। জেনে নেওয়া যাক কি কি অত্যাধুনিক ফিচার থাকবে এই সমস্ত বেসরকারি ট্রেনে? এই সব ট্রেনে থাকবে ইলেকট্রনিক্স স্লাইডিং দরজা, যাত্রী সার্ভিলেন্সের ব্যবস্থা,পাবলিক অ্যাড্রেস অ্যানাউন্সমেন্ট সিস্টেম, ইনফরমেশন ডিসপ্লে এবং ডেস্টিনেশন বোর্ড।
ইতিমধ্যেই রেল মন্ত্রকের তরফ এই ট্রেন গুলির জন্য একটি বিবরণীর খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে যা ওই বেসরকারি ট্রেন গুলি মেনে চলতে হবে।২০২৩শের মার্চ মাস থেকে ধাপে ধাপে বেসরকারি ট্রেন পরিষেবা চালু হবে।
ওই ট্রেন গুলিতে মেট্রোরেলের মত প্রত্যেক কামরার সব দরজা ইলেক্ট্রাক্যালি বন্ধ খোলা না হওয়া পর্যন্ত তা চালু হবে না। প্রতিটি ট্রেনের ডেটা রেকোর্ডার রাখার ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে অন্তত ১৫ দিনের জন্য থাকবে ট্রেনের গতি, ব্রেকিং, ব্যাটারি ভোল্টেজ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য। নতুন ট্রেন গুলি ডিস্ট্রিবিউটেড পাওয়ার টাইপ অথবা পাওয়ার হেড টাইপের হবে। ট্রেনের দুই প্রান্তে থাকবে চালকের আসন। এরফলে যে-কোন দিকেই চালানো যাবে ট্রেন। তার জন্য ইঞ্জিনের মুখ পরিবর্তন করতে হবে না। প্রতি ঘন্টায় ১৮০ কিমি গতিবেগে চলার ক্ষমতা থাকবে ট্রেন গুলির। এছাড়াও এসব ট্রেনে থাকবে ব্রেইলে লেখা সাইনবোর্ড। সেফটি কাঁচের তৈরি জানলা এমার্জেন্সি টকব্যাক মেকানিজম থাকবে। প্রতি কোচে থাকবে জিরো ডিসচার্জ টয়লেটের ব্যবস্থা। যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইমার্জেন্সি ব্রেকার ব্যবস্থা থাকবে। এতে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে। এখনো পর্যন্ত ২৩ টি সংস্থা নিলামে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।