সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ৩১ মার্চ: করোনা আতংক গ্রাস করেছে বেসরকারি চিকিৎসক মহলেও। পুরুলিয়ায় কর্মরত প্রায় ৩৫ জন চিকিৎসক তাঁদের প্রাইভেট প্র্যাক্টিস বন্ধ রেখেছেন। গর্ভবতী মহিলা বা খুব জরুরি ক্ষেত্র ছাড়া এই পরিষেবা এখন শিকেই উঠেছে পুরুলিয়া জেলায়। আর এর ফলে, চরম সমস্যায় পড়েছেন জেলাবাসী।
সরকারি হাসপাতাল দিন রাত খোলা থাকলেও খুব জরুরি না হলে সেখানে না যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। সেখানে মূলত ‘করোনা’ সংক্রান্ত চিকিৎসা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে হয়ে উঠেছে। সংক্রমণের কারণে এই সাধারণ রোগী এবং পরিজনদের না আসার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। এই অবস্থায় চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ বোধ করতে থাকা পুরুলিয়া শহরের এক প্রবীণ জানান, ‘মাসে একবার করে রুটিন চেক আপ করি চিকিৎসকের চেম্বারে। এখন সেই চিকিৎসকের ফোন বন্ধ। এই অবস্থায় কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।’
পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি জানান, ‘তাঁর ছেলে অসুস্থ হয়েছে। কোথাও কোনও চিকিৎসকের চেম্বার খোলা নেই। এদিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও ইচ্ছে করছে না। চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। এই জরুরি সময়ে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া উচিত হয়নি চিকিৎসকদের।’
পুরুলিয়ায় চিকিৎসক সংগঠনের প্রায় ৩৫ জন কর্মরত রয়েছেন। তাঁরা প্রাইভেট প্র্যাক্টিসও করেন। এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিজেদের চেম্বার বন্ধ রাখার কারণ হিসেবে পুরুলিয়ার চিকিৎসক সংগঠনের জেলা সম্পাদক ডা: অজিত মুর্মু বলেন,‘চেম্বারে বসলেই এক সঙ্গে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটবে। এই সময় সেটা একেবারেই ঠিক নয়। খুব জরুরি হলে হাসপাতাল তো রয়েছে। তা ছাড়া যাঁরা নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেন তাঁদের কাছে তো যোগাযোগ নম্বর থাকবেই।’