আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৬ এপ্রিল: আজ বিনপুর ২ নং ব্লক, এড়গোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাজপাড়া গ্রামের “প্রচেষ্টা গ্রুপ” এর পক্ষ থেকে কাঁটাশোলা, রাজপাড়া, ধোবাকুঁড়িয়া, নিশ্চিন্দিপুর, আশাকাঁথি, রাজকুষমা, আস্তাডাঙ্গা, ভালকাচুয়া, ইন্দ্রপাহাড়ি, ঝাটিয়াড়া, বড়ামশোল, পাকুড়াশোল, ভুরষাতোড়া, কলাবেড়িয়া, আস্তাপাড়া, কাদোডিহা প্রভৃতি গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
যে সমস্ত দরজি বিভিন্ন দোকানে কাজ করতেন অথচ লকডাউনে রুজি-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে সেই রকম কিছু জনকে দিয়ে এই মাস্কগুলি তৈরি করানো হয়েছে। যাতে করে এই লকডাউনের সময় তাদেরকে আমরা যথাসম্ভব সাহায্য ও সহযোগিতা করা যায় সেই চেষ্টাই করেছি। যে সদস্য যে গ্রামের তিনি কেবলমাত্র তার সংসদ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে এই মাস্ক বিতরণের দায়িত্ব নেন। যেমন রাজপাড়ার বাপ্পা, মধুসূদন, বিশ্বজিত- ভুরষাতোড়া, কলাবেড়িয়া গ্রামে অশোক, উত্তম – আস্তাপাড়া, কাদোডিহাতে লালচাঁদ, বিপুল মাস্কগুলি বিতরণে অংশ নেন। আমাদের সদস্যগণ প্রতিটি ব্যক্তিকে এটাও জানিয়েছেন যে অবশ্যই যেন সাবান দিয়ে ভালোকরে ধুয়ে মাস্কগুলো ব্যবহার করেন। আরও কিছু মাস্ক আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে, তারপর আবার প্রায় দশটি গ্রামে বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমরা সর্বমোট ৫০০০ মাস্ক তৈরি ও বিতরণের লক্ষ্যে এগোচ্ছি।
প্রচেষ্টা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মুকুন্দ রাম চক্রবর্তীর বক্তব্য,
প্রচেষ্টা গ্রুপ ২০১৫ সাল থেকেই মানুষের কল্যাণে নানারকম কাজকর্ম করে আসছে। আজও করছে। এই অসুবিধার সময় বিভিন্ন জায়গাতে কোনও রকম প্রচার ছাড়াই দুঃস্থ অসহায় মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রীও তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনেও যাতে একই ভাবে সময়ে-অসময়ে, বিশেষত মানুষের অসুবিধার সময় তাদের পাশে এই গ্রুপ দাঁড়াতে পারে সেই চেষ্টাই করা হবে। আমরা আমাদের সীমিত সামর্থের মধ্যে এই কাজগুলি করতে গিয়ে দেখি অনেকেই আমাদের পাশে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার জন্য সদস্য, সদস্যা সহ সকল শুভাকাঙ্খীগণকে ধন্যবাদ জানাই।