আমাদের ভারত, ৫ অক্টোবর:
সব রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার। সেই চিঠি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে সতর্ক করেছে কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলিকে বলা হয়েছে তারা যেন ভোটারদের কোনো ফাঁকা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি না দেয়।
নিখরচায় চটকদার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধ করার দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে হওয়া একটি মামলার শুনানি চলছে। গত মাসের ২৫ তারিখে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এন বি রামানা নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে তাদের অভিমত জানাতে বলেন। সেই সম্পর্কে অন্তর্বর্তী আদেশে তিনি কমিশনকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে।
আদালতে হলফনামা দিয়ে কমিশন এই ব্যাপারে এক প্রকার তাদের অক্ষমতার কথাই বলেছে। কমিশনের বক্তব্য কোন সুবিধাকে চটকদার অবাস্তব সঙ্গতিহীন বলা হবে তার সংজ্ঞা সরকারকে ঠিক করতে হবে। কারণ সময়ের সঙ্গে এর সংজ্ঞা বদল জরুরী।
সম্প্রতি এই বিষয়টির উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। তিনি উত্তর প্রদেশের জনসভায় এই ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলির এমন সব সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করছে, যেগুলির দায় বহন করতে গিয়ে রাস্তা, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির টাকায় টান পড়ছে।
বিশেষত বিজেপি এব্যাপারে সরব হয়েছে কারণ, তৃণমূল, আপ, টি আর এস, বিজেডি, ডিএমকের মতো আঞ্চলিক দলগুলি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীর মত স্কিম চালু করে ভোটের বাক্সে বাজিমাত করার চেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জেরে বিজেপির আইনজীবী নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের আগে এমন কোনো সুবিধা পোষণ করতে পারবেন না যা অর্থসংকট ডেকে আনবে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ঘোষণা করা চলবে না।
কমিশন তার চিঠিতে বলেছে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি যেটাই দেওয়া হোক না কেন, আর্থিকভাবে তা পূরণ করার যোগ্য কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কমিশনের বক্তব্য, এই বিষয়ে কমিশন চুপ করে থাকতে পারে না। তারা রাজনৈতিক দলগুলিকে বলেছে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে নিজেদের অভিমত কমিশনকে জানাতে হবে।