
আমাদের ভারত,২৩ ফেব্রুয়ারি: সিএএ প্রত্যাহারের দাবিতে শাহিনবাগে আজ ৭০ দিনের ওপরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে মহিলারা। যার জেরে বন্ধ রয়েছে দিল্লি নয়ডা সংযোগকারী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এর ফলে নিত্য ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দিল্লিবাসী। এবার সেই রাস্তাগুলি খোলার দাবিতে আন্দোলনে নামলেন দিল্লি বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার সরিতা বিহার ও যশোর এলাকার বাসিন্দারা রাস্তায় বসে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন। তাদের দাবি শাহিনবাগ আন্দোলনের জেরে যে সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়েছে তা খুলে দিতে হবে।
শাহিনবাগের জন্য ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী অমিত সাহানি। ওই আইনজীবী দ্রুত শাহিনবাগ এলাকার ট্রাফিক সমস্যার দূর করার দাবীতে আদালতের দ্বারস্থ হন। তার করা মামলার শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালত শাহিনবাগে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের বিক্ষোভ করার অধিকার আছে কিন্তু রাস্তা বন্ধ করবেন না। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আপনাদের দেখে অন্যরাও শিখছে। আজ আপনারা বিক্ষোভ করছেন আগামী দিনে অন্যরাও করবে।”
ইতিমধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য শাহিনবাগে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে দুজন মধ্যস্থতাকারীকেও নিয়োগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দুই বর্ষিয়ান আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে ও সাধনা রমাচন্দ্রনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে ট্রাফিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান সূত্র বার করতে। মধ্যস্থতাকারীরা কথা বলার পর কিছুক্ষণের জন্য বৃহস্পতিবার রাস্তার একটি অংশ খুলে দেওয়া হয়। তবে কিছুক্ষণ পরেই সে রাস্তা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও শনিবার আন্দোলনকারীরা রাস্তার আরেকটি অংশ খুলে দেন। যদিও সেই রাস্তার অন্য আরেকটি অংশ বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ। তাই এবার আটকে থাকা সব রাস্তা খোলার দাবিতে আন্দোলনে নামলেন শাহিনবাগ সংলগ্ন বাসিন্দারা।