
সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ৫ ফেব্রুয়ারি: অস্বাভাবিক হারে ফি-বৃদ্ধি নিয়ে কিছুদিন আগেই ৩১ জানুয়ারি বিক্ষোভ এবং রাস্তা অবরোধ করেছিলেন অভিভাবকেরা। অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ আলোচনার আশ্বাস দিলেও ৫ দিন পরেও দেখা করেননি। তাই গত সপ্তাহের পর বুধবারও ফের বিক্ষোভ শুরু করলেন অভিভাবকরা। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে রয়েছে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ।
অভিভাবকদের দাবি, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এক ধাক্কায় সিনিয়র ও জুনিয়র দুই বিভাগেই ২৫ শতাংশ ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই নিয়ে তাদের আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি, আলোচনাও করা হয়নি। এই নিয়ে কথা বলতে গেলে স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল বলেছিলেন, ফি বাড়ানোর কথা উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। তাই তিনি কথা বলে অভিভাবকদের জানাবেন। কিন্তু ৫ দিন কেটে গেলেও স্কুলের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিভাবকদের দাবি, এক ধাক্কায় এতটা ফি বৃদ্ধি তাঁদের দুশ্চিন্তা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। একেবারে অতটা না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে বাড়ানো হোক। তাই ৩১ জানুয়ারি সকাল থেকে সাউথ পয়েন্ট জুনিয়র স্কুলের গেটের বাইরে রাস্তায় তাঁরা প্রতিবাদ দেখান। বেলা পর্যন্ত রাস্তা অবরুদ্ধ থাকায় যান চলাচলেও সমস্যা হয়। স্কুলের তরফে বিশ্বজিৎ মতিলাল পালটা অভিযোগ করেছিলেন, প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে অভিভাবকরা স্কুলের গেট কার্যত বন্ধ করে দেন। তাতে সময়মতো স্কুলে ঢুকতে পারেনি অনেক পড়ুয়া।
এরপর ৫ দিন কেটে গেলেও ফি কমানো নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও সাড়া না মেলায় বুধবার আরও একবার স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখান। এদিকে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা না বললেও সংবাদমাধ্যমের কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রত্যেক বছর ফি বাড়ানো হয় না। বহু বছর পর স্কুলের ফি বাড়ানো হল। উন্নত পরিকাঠামো বজায় রেখে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদানকে এখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এতদিন সামাল দিলেও আজকের সময়ের বাস্তব নিরিখে এই ফি বাড়ানো হয়েছে। এতে স্কুলের মানই অক্ষুন্ন থাকবে। এই বিষয়ে অভিভাবকদের সহযোগিতা আশা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ অভিভাবকরা আন্দোলন করলেও ফি কমানোর বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এখনই কিছু ভাবছে না, সেটাই যেন বুঝিয়ে দেওয়া হল।