বেঙ্গল সাফারি পার্কের আধিকারিকের বদলির দাবিতে গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মীদের, হয়রানির শিকার পর্যটকরা

আমাদের ভারত, শিলিগুড়ি, ২৫ মে: বেঙ্গল সাফারি পার্কের আধিকারিকের বদলির দাবিতে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে পার্কের মূল গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হল বেঙ্গল সাফারি পার্কের কর্মীরা। বুধবার সকাল থেকে চলা কর্মীদের এই বিক্ষোভের জেরে নাজেহাল হতে হল পার্কে আসা পর্যটকদের। পার্কে প্রবেশ না করতে পেরে ফিরে যেতে হয় তাদের।

অন্যদিকে, এই বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ায় পার্ক চত্বরে। কর্মীদের অভিযোগ, পার্ক কর্তৃপক্ষ নিজের খেয়ালখুশি মতো কর্মীদের কাজের জায়গার পরিবর্তন করছে। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। যদিও পার্কের ডিরেক্টর দাওয়া এস শেরপা বলেন, “ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।”

২০১৫ সালে শিলিগুড়ির অদূরে তৈরি হয়েছিল বেঙ্গল সাফারি পার্ক। পার্কের বিভিন্ন খাতে কাজের জন্য নিযুক্ত রয়েছে প্রায় ১৫০ জনেরও বেশি কর্মী। তার মধ্যে বেশিরভাব কর্মীই পার্কের জন্মলগ্ন থেকে কাজ করে আসছে। তাদের অভিযোগ, যে কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তারা নিযুক্ত সেই কাজের বদলে তাদের অন্য কাজ দেওয়া হচ্ছে। তাতে তাদের কাজের মানও কমে যাচ্ছে। সেই কারণেই বেঁকে বসে কর্মীরা। বুধবার সকাল থেকে পরিষেবা বন্ধ রেখে পার্কের মূল গেট আটকে অবস্থান বিক্ষোভ করে তারা। পার্কের প্রায় সমস্ত কর্মীরাই এদিন বিক্ষোভে সামিল হয়।

এক বিক্ষোভরত কর্মী বলেন, “২০১৫ সাল থেকে আমরা এখানে কাজ করছি। এতদিন যত আধিকারিক এসেছে কেউ তাদের কাজের জায়গা পরিবর্তন করেনি। কিন্তু নতুন ডিরেক্টর আসার পর থেকে আমাদের জায়গা পরিবর্তন করে যেখানে পাঠানো হচ্ছে তাতে আমাদের কাজের গুণগত মান কমে যাচ্ছে। তাই পার্কের আধিকারিকের বদলির দাবি করছি আমরা।”

অন্যদিকে এই বিক্ষোভের জেরে হয়রানির শিকার হতে হয় পার্কে আসা পর্যটকদের। জানা গিয়েছে, রাজস্থান, দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা আজ পার্কে এসেছিল। আগে থেকেই তাদের টিকিট বুক করা ছিল। কিন্তু এই বিক্ষোভের জেরে তারা পার্কে প্রবেশ না করতে পেরে ফিরে যায়। তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। কিছু পর্যটক জানান, “আমরা বেশ কিছুদিন আগেই টিকিট কেটেছিলাম। এখানে এই পরিস্থিতি হবে জানতাম না। ফিরে যাচ্ছি।”

অন্যদিকে, পার্কের ডিরেক্টর দাওয়া এস শেরপা বলেন, “একজন যিনি দীর্ঘদিন ধরে এক কাজ করে এসেছে তাকে তো নতুন কাজ শিখতে হবে। এটা একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পার্কও খোলা রয়েছে। কর্মীরা কাজে যোগ দিয়েছে। যে সমস্ত পর্যটকেরা ফিরে গিয়েছে তাদের টিকিটের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *