বনধে মিশ্র সাড়া পুরুলিয়ায়

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৬ নভেম্বর: বনধে মিশ্র সাড়া পড়ল জেলা পুরুলিয়ায়। এই মুহূর্তে শুধু মাত্র সড়ক পরিবহনের উপর সচল হয়েছে জনজীবন। সচল হয়ে ওঠা সেই জনজীবনে প্রভাব পড়ল। সরকারি বাস চালু থাকলেও বেসরকারি বাস রাস্তায় নামেনি। যদিও ঝাড়খন্ডের কিছু বাস এই জেলার মধ্যে যাতায়াত করেছে। জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় অচল হয়ে পড়ে পুরুলিয়া শহর।

সকাল থেকে অধিকাংশ দোকান, বাজার বন্ধ ছিল। পুলিশি টহল ছিল রাস্তার মোড়ে মোড়ে। পদস্থ আধিকারিকদের নেতৃত্বে পুলিশ রুট মার্চ করে। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়ার মতো ছিল। বিয়ে বাড়ির মরশুম চলছে। এই অবস্থায় বনধে সমস্যায় পড়েন আয়োজক ও আত্মীয় স্বজনরা। 

এদিন জেলার খনি অঞ্চল নিতুড়িয়া, সাঁতুড়ি , সাঁওতালডি, পাড়ায় বন্ধের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। জেলার ১৮ টি স্পজ আয়রন কারখানা, ৬ টি সিমেন্ট কারখানা খোলা এবং সচল ছিল বলে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রফুল্ল মাহাতো দাবি করেন।

করোনা আবহে টানা লক ডাউনে এমনিতেই পুরুলিয়া জেলার জনজীবন স্তব্ধ করে দিয়েছিল। তার উপর কর্মনাশা বনধ আর্থ সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পুরুলিয়া জেলাকে জোর ধাক্কা দিল বলে মনে করছে রাজনীতি সচেতন মানুষ। বন্ধের সমর্থনে সি পি এম মিছিল করে।  সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল এদিন।

এদিন বনধকে কটাক্ষ করে জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙ্গা বলেন, “শেষ হয়ে যাওয়া বামেদের এই প্রজন্ম বনধকে সমর্থন করছে না। তা ছাড়া বনধে দিনআনা দিনখাওয়া মানুষ ক্ষতির মুখে পড়ে। তাঁরা আর ওদের মোহতে পড়ে নেই। বামেদের চোখ রাঙানি আর সহ্য করবে না তাঁরা।” পুরুলিয়া জেলায় বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি বলে দাবি করেন তিনি।

“জেলার সাধারণ মানুষের পক্ষে তৃণমূল। আর তাই মানুষের যেটাতে ভালো হবে সেটাই আমরা করছি। বনধে সায় নেই আমাদের।” এদিন বনধের বিরোধিতা করে এই কথা বলেন তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক বৈদ্যনাথ মন্ডল।

বনধে সওয়ারি না পেয়েক হতাশ রিক্সা ও টোটো চালকরা। বন্ধের বিরোধিতা করেন তাঁরাও। রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের জনমানসে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার বনধ বা ধর্মঘটের মতো পুরানো পন্থার সমালাচনা করেন সাধারণ মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *