সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৫ ডিসেম্বর: অযোধ্যা পাহাড় ও পাহাড়তলির জনপদগুলির দুঃস্থদের কাছে সান্তা ক্লজ হিসেবে নিজেদের তুলে ধরলেন পুরুলিয়ার ‘কাব্যায়ন ‘ নামে সাংস্কৃতিক সংস্থা। শীতের পোশাক আর নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী এবং প্রান্তিক মানুষজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সবই হল বড় দিন উপলক্ষ্যে।
অযোধ্যা পাহাড়ের একেবারে গোড়ায় ছবির মতো সাজানো এক গ্রাম ভুদা। আড়ষা ব্লকের এই প্রান্তিক গ্ৰাম যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। গ্রামে এখনও পাকা রাস্তা নেই। পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। বারো মাস দূরের নদী থেকে জল সংগ্রহ করে আনতে হয়। নিত্যদিন কয়েক কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পেরিয়ে জঙ্গল থেকে কাঠ সংগ্রহ করে নিয়ে নীচে এসে স্থানীয় হাটে বিক্রি করা তাঁদের জীবিকা। অযোধ্যা পাহাড় ও পাহাড়তলির অধিকাংশ গ্রামের বাসিন্দারা এই ভাবেই জীবন যাপন করেন। দারিদ্র্যসীমার একেবারে নীচে থাকা এই গ্রামের বাসিন্দাদের কম্বল ও শীতের পোশাক তুলে দিল পুরুলিয়ার কাব্যায়ণ নামে সংস্থাটি। তাদের সহযোগী সংস্থা হিসেবে ছিল পথের সাথী। পুরুলিয়া বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে ওই গ্রামে আয়োজন করা হয়েছিল স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। ওই শিবিরে শতাধিক মানুষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।তাঁদের প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন বিজ্ঞান মঞ্চের জেলা সম্পাদক তথা চিকিৎসক ডা: নয়ন মুখার্জি।
কাব্যায়ণের পক্ষে ইন্দ্রানী মাইতি, রিনা রানী মানী ও দোলন পাল জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যে বলরামপুরের মালতি, আড়ষার হেরোডি এবং ভুদায় শীতবস্ত্র , সাধারণ পোষাক এবং খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলাম।” তাঁরা জানান, প্রায় তিনশোরও বেশি মানুষের হাতে পোশাক তুলে দিয়েছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তারা অযোধ্যা পাহাড় এলাকায় যাবেন। সেখানকার মানুষদের হাতে সাধারণ পোশাকসহ শীত বস্ত্র তুলে দেবেন।
শীত বস্ত্র ও কম্বল হাতে পেয়ে উদ্যোক্তাদের এক চিলতে হাসি উপহার হিসেবে তুলে দিলেন সরল মনের এই প্রান্তিকরা।