সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১৮ জানুয়ারি: পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অনলাইন পরীক্ষায় ২০২০ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়ায় আলোড়ন পড়ল। আজ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের ৪০ নম্বরের থিওরিটিক্যালের অনলাইন পরীক্ষায় এই গোলমাল দেখা দেয়। ৪০ নম্বরের ওই পরীক্ষার শুরুতেই বিপত্তি দেখা দেয়। এর মধ্যেই অধিকাংশ পরীক্ষার্থী উত্তর লিখতে শুরু করেন। বেলা এগারোটা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিবাদ হতেই সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সব বিষয়ে একই পরিস্থিতি হয় বলে জানা গিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষায় এই ধরণের গোলমালকে অবহেলারই সামিল বলে মনে করছে শিক্ষা মহল। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিক্ষা মহলে। আলোড়নও পড়ে যায় এই ঘটনায়। গুরুত্ব না দেওয়ার প্রশ্ন উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক ড: সুবল দে এটাকে যান্ত্রিক ত্রুটি বলেন। তিনি জানান, “অনলাইন পরীক্ষা, পরীক্ষার্থীরা বাড়িতে বসেই পরীক্ষা দিচ্ছে। তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। পরবর্তীকালে নতুন প্রশ্ন পত্রে পরীক্ষা যথারীতি হয়।”
“প্রথমে দেওয়া প্রশ্নপত্রে উত্তর লেখা শুরু করেছিলাম। হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফের চল্লিশ মিনিট পর পরীক্ষা শুরু হয় নতুন প্রশ্নপত্রে। এতে মনোসংযোগ নষ্ট হয়।” কথাগুলি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষার্থী পাটঝালদার বাসিন্দা বিপত্তারণ মিত্র, বলরামপুরের বিবেক হালদার।
আজকের এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। ওই ছাত্র সংগঠনের জেলা সংযোজক প্রতীক দুয়ারী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষায় যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে ব্যবস্থাপনা এবং যাঁরা এই দায়িত্বে নিয়োজিত তাঁদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। আজকের ঘটনায় ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষার বেহাল অবস্থার দিকে ক্রমশঃ যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান গীতশ্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তবে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার কথা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসচিব ড: নচিকেতা বন্দ্যোপাধ্যায়।