আমাদের ভারত, হাওড়া, ২৭ জুন: আগে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা চালডাল লুট করতো আর এখন আমফানের ত্রাণের টাকা লুট করছে। আসলে তৃণমূলের যাওয়ার সময় হয়েছে, এই সময় যে দোষ থাকা দরকার রাজ্য সরকার সেই দোষে দুষ্ট হচ্ছে। এটাই তৃণমূলের শেষের লক্ষণ। শনিবার ফুলেশ্বরের মনসাতলায় বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলা শাখার সদর কার্যালযে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ভাবেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রাহুল সিনহা।
এদিন তিনি বলেন, আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে দুর্নীতির পর সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে যেরকম তালিকা টাঙানো হচ্ছে সেই রকম যারা অন্যায় ভাবে টাকা নিয়েছিল তারাও টাকা ফেরত দিচ্ছে। তবে শুধু তালিকা টাঙানোই নয়, যারা অন্যায় ভাবে টাকা নিয়েছেন তাদের নামের তালিকা টাঙানোর পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে সরকার কি ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটাও জানাতে হবে বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য কমলেও ভারতে তেলের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা বলেন, লকডাউনের ফলে তেল আমদানি না করায় মজুত তেল দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। তাই তেলের দাম বাড়ছে। তবে এটাও সাময়িক। লকডাউন উঠে গেলে তেলের দাম হু হু করে নেমে যাবে বলেও দাবি করেন রাহুল সিনহা। তেলের দাম বাড়ায় বিরোধীরা এখন আন্দোলন করছে কিন্তু যখন তেলের দাম কমছিল তখন কেন বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেননি সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। রাজ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, এই মূল্যবৃদ্ধি যদি কৃষকরা পেত তাহলে বলার কিছু ছিল না কিন্তু ফোঁড়েরা এই টাকা খাওয়ায় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধি হলেও তৃণমূল কেন আন্দোলন করছে না সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। তবে বিজেপির উপর মানুষের যে আস্থা তৈরি হয়েছে সেটা মিথ্যে মামলা দিয়ে দমানো যাবে না বলে দাবি করেন রাহুল সিনহা।
এদিন রাহুল সিনহা বাণিবন অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে অংশ নেন এবং বৃক্ষরোপণ করেন।
অন্যদিকে এদিনই বিকেলে উলুবেড়িয়ার বাণিবন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর চিঠি বিলি করেন এবং বৃক্ষ রোপন করেন।