স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২ জানুয়ারি: অবৈধ ও লাইসেন্স বিহীন টোটোর দাপটে নাভিশ্বাস রায়গঞ্জ শহরবাসীর। প্রায় নিত্যদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্যস্ত সময়ে যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে রায়গঞ্জ শহর। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরের বাসিন্দারা। টোটোর অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষ নিয়ম বিধি মেনে ট্রাফিক আইন অনুযায়ী পুলিশ প্রশাসনের পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছেন।
উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর শহর রায়গঞ্জ ক্রমশ বানিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিগনিত হচ্ছে। বেড়েছে জনসংখ্যা আর জনসংখ্যার সাথে সেভাবেই বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যাও৷ শহরের শিলিগুড়ি মোড় থেকে দেবীনগর এলাকায় নেতাজি সুভাষ রোডে রয়েছে সুদর্শনপুর, বিধাননগর, মোহনবাটি, ঘড়িমোড় আর ব্যস্ততম মহাত্মা গান্ধী রোডে রয়েছে বড় বড় ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান। শহরের বিধান সরনীতে রয়েছে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ব্যস্ততম রাস্তা ও জনপদগুলি ইদানিং টোটো বা ই-রিকশার দখলেই চলে গিয়েছে। ছোট্ট এই রায়গঞ্জ শহরে কমপক্ষে ছয় থেকে সাত হাজার টোটো চলাচল করে। এরমধ্যে প্রায় চার হাজার টোটোই বেআইনি এবং লাইসেন্স বিহীন। বেশিরভাগ টোটোই আশপাশের গ্রাম থেকে শহরে এসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
রায়গঞ্জ শহরবাসীর অভিযোগ, কোনও টোটো চালকই ট্রাফিক আইন বা নিয়ম মেনে চলাচল করে না। যেখানে সেখানে পার্কিং করে রাখছে টোটো। ফলে দিনের ব্যস্ততম সময়গুলোতে টোটোর সমস্যায় জেরবার হতে হচ্ছে সাধারন মানুষ থেকে পথচারী এমনকি অন্যান্য যানবাহন চালকদেরও। সংকীর্ণ রাস্তায় দুতিনটে লাইন করে চলাচল করায় যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে শহর। রায়গঞ্জ শহরের রাজপথই নয়, শহরের উপর দিয়ে যাওয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কেও চলাচল করছে টোটোগুলি। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। শুধু দিনের বেলাতেই নয় রাতের অন্ধকারেও লাইট না জ্বালিয়ে চলাচল করছে বেআইনি টোটো। রায়গঞ্জ শহরের সাধারন মানুষ থেকে পথচারীরা টোটোর দৌরাত্ম্য কমাতে পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাইছেন। তাঁরা চান অবিলম্বে বেআইনি লাইসেন্স বিহীন টোটোর সংখ্যা কমিয়ে রায়গঞ্জ শহরকে যানজটমুক্ত করতে।
রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রায়গঞ্জ শহরে টোটোর দৌরাত্ম্যের কথা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, অবিলম্বে শহরে বেআইনি ও লাইসেন্স বিহীন টোটো চলাচলে রাশ টানার উদ্যোগ নেওয়া হবে।