স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ৩০ মে:
করোনা কালে পুলিশের মানবিক মুখ এখন অতিপরিচিত ঘটনা। মানুষের সাথে মানুষের পাশে সদা সর্বদা পুলিশ কাজ করে চলেছে। এবার রায়গঞ্জে ক্যান্সার আক্রান্ত এক সঙ্গীত শিল্পীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে অনন্য নজির গড়ল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ কর্মীরা। রবিবার রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় ক্যান্সার আক্রান্ত সঙ্গীত শিল্পী সুবীর সাহার স্ত্রী প্রিয়া সাহার হাতে কিছু নগদ অর্থ ও দুই শিশুর জন্য বেবিফুড তুলে দিলেন রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা সহ অন্যান্য পুলিশ অফিসার ও পুলিশ কর্মীরা। রায়গঞ্জ থানার এই মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, স্থানীয় কাউন্সিলর অনিরুদ্ধ সাহা। কিছুটা হলেও এই বিপদের দিনে রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে পাশে পেয়ে উপকৃত বলে জানালেন ক্যান্সার আক্রান্ত সঙ্গীত শিল্পী সুবীর সাহার স্ত্রী প্রিয়া সাহা।
মাত্র দিন কয়েক আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ” রায়গঞ্জ রকার্স ” নামে বাংলা ব্যান্ডের স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পী রায়গঞ্জের বাসিন্দা সুবীর সাহা। রায়গঞ্জে চিকিৎসা না হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হায়দ্রাবাদে। সেখানে তাঁর লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে। কিন্তু দুঃস্থ এই শিল্পী দূরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই তাঁর পরিবারের। দুটো দুধের যমজ শিশু সন্তান নিয়ে তাঁর স্ত্রী প্রিয়া সাহা অকুল পাথারে পড়েছেন। এই স্বনামধন্য ক্যান্সার আক্রান্ত শিল্পীর চিকিৎসায় আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে এগিয়ে আসছেন অনেকেই। কিন্তু চিকিৎসার খরচ যে অনেক। উকিলপাড়ার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনিরুদ্ধ সাহার কাছ থেকে জানতে পেরে ওই শিল্পীর পরিবারকে চিকিৎসার সহায়তার জন্য এগিয়ে এল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। রবিবার কাউন্সিলর অনিরুদ্ধ সাহা এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের নিয়ে সঙ্গীত শিল্পী সুবীর সাহার স্ত্রী প্রিয়া সাহার বাড়িতে আসেন রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা। প্রিয়া সাহার হাতে তাঁর স্বামীর চিকিৎসার জন্য কিছু আর্থিক সাহায্য এবং দুই শিশুর জন্য বেবিফুড তুলে দেন।
আইসি সুরজ থাপা বলেন, সামান্য কিছু সাহায্য করার মাধ্যমে রায়গঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের কাছে আহ্বান রাখছি সকলকে সঙ্গীত শিল্পী সুবীর সাহার চিকিৎসার বিষয়ে এগিয়ে আসার জন্য। এই দুঃসময়ে পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনিরুদ্ধ সাহাকে পাশে পেয়ে ভরসা পেয়েছেন ক্যান্সার আক্রান্ত সঙ্গীত শিল্পী সুবীর সাহার স্ত্রী প্রিয়া সাহা।