ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ময়নাগুড়িতে, মৃত কমপক্ষে ৩, আহত বহু, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা কেন্দ্রের, হেল্পলাইন চালু রাজ্যের

আমাদের ভারত, ১৩ জানুয়ারি:ময়নাগুড়ির দোমাহানিতে বিকানের গুয়াহাটি এক্সপ্রেস বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে। লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেনের পাঁচটি কামড়া। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে তিন জনের। আহত হয়েছে বহু। রেল ও রাজ্য সরকারের তরফে দ্রুত গতিতে উদ্বারকাজ শুরু হয়েছে। ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। রাজ্যের তরফে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।

ময়নাগুড়িতে বিকানের গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে দুর্ঘটনায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গুরুতর জখমদের দেওয়া হবে ১ লক্ষ টাকা এবং যাদের সামান্য আঘাত লেগেছে তাদের দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা।

কোভিড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই হঠাৎ জানতে পারেন দুর্ঘটনার কথা। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী শুরু করে দেন ফোন করতে । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান এই দুর্ঘটনায় তিনি উদ্বিগ্ন। রাজ্য সরকারের সিনিয়র অফিসার উত্তরবঙ্গের জেলাশাসক ও এস পিরা বিষয়টি দেখছেন। উদ্ধারকার্য চলছে। আহতদের যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ময়নাগুড়ি দুর্ঘটনায় একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে সেটি হল 8134054999।
ঘটনায় টুইট করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

বড়োসড়ো রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। লাইনচ্যুত হয়েছে বিকানের গৌহাটি এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ট্রেনের অন্তত পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানা গেছে। লাইনে ফাটল থাকার কারণেই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে রেল সূত্রে খবর। ট্রেনে থাকা এক আতঙ্কিত যাত্রী জানিয়েছেন, ট্রেনটি বিকট শব্দে হঠাৎ ঝাঁকুনি দেয় কিছু বুঝে ওঠার আগেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। তিনি যে কামরায় ছিলেন সেটিতে কিছু না হলেও আগের বেশ কয়েকটি কামরা উল্টে যায়। একটি কামড়া কার্যত জলে মধ্যে গিয়ে পড়েছে। দুমড়ে মুচড়ে গেছে একাধিক কামড়া।

ময়নাগুড়ি দোমহানিতে ট্রেনটি উল্টানোর খবর পেয়েই আলিপুরদুয়ারের একটি উদ্ধারকাজের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। জলপাইগুড়ি জেলা শাসক জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় মানুষ উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছে। অন্ধকার নেমে আসায় উদ্ধারকাজে প্রাথমিক ভাবে অসুবিধা হচ্ছিল। পরে আলোর ব্যবস্থা করে উদ্ধার কাজ চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *