
রাজেন রায়, কলকাতা, ১৮ জানুয়ারি: দ্বিচারিতা করছে কেন্দ্র, এ অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসন। চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার ট্যাবলো বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
গত ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ২৬ জানুয়ারি দিল্লির কুচকাওয়াজে বাংলার ট্যাবলোকে বাদ দেওয়ায় তিনি ব্যথিত। কেন্দ্র কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল তাও স্পষ্ট করেনি নবান্নকে। একইসঙ্গে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক বলে আবেদন জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাজনাথ সিং তাঁর চিঠিতে লেখেন, ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে আমরা শ্রদ্ধা করি। সেই সম্মান স্মারক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৩ জানুয়ারি পরাক্রম দিবস ঘোষণা করেছেন। এবার থেকে গণতন্ত্র দিবসের উদযাপনের শুরুই হবে ২৩ জানুয়ারি থেকে। চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। বর্তমান সরকার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি কৃতজ্ঞ।’
একইসঙ্গে রাজনাথ সিং লেখেন, ট্যাবলো বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনও অস্বচ্ছতার প্রশ্নই নেই। আমি আপনাকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করতে চাই গণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে যে সব ট্যাবলো অংশ নেয় তা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শিতা কাজ করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিদ্বজ্জনেদের সমিতি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে পাঠানো প্রস্তাব খুব ভালভাবে দেখে তারপরই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাই। এই চয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ২০১৬, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ গণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়েছিল।’ এবার ২৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রস্তাবের মধ্যে ১২টিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কী কী অনুষ্ঠান পালন করেছে। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব বর্ষ পালন করছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে উদযাপনের জন্য এই থিম বাছাই করা হয়েছে।
রাজনাথ সিং জানান, অমৃত মহোৎসব বর্ষে ২৬ জানুয়ারি গণতন্ত্র দিবসের এই পর্ব কেন্দ্র ও প্রত্যেকটি রাজ্যের জন্য অত্যন্ত বিশেষ একটি অনুষ্ঠান। ট্যুইটের মাধ্যমে বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যদিও বিষয়টাকে ধামাচাপা দিতে পুরোটাই লোকদেখানো কৌশল, এমনটাই দাবি তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের।