আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২০ সেপ্টেম্বর: হতদরিদ্র রেলের হকারদের উপর আরপিএফের জুলুমবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হল তৃণমূলের প্রভাবিত রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন। অবিলম্বে রেলের হকার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপর থেকে অত্যাচার বন্ধ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে সংগঠন।
রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট স্টেশনের কয়েকজন আরপিএফ অফিসার ট্রেনের হকারদের কাছ থেকে প্রতিদিন তোলা নিচ্ছে। হকাররাও পরিবার বাঁচাতে তাদের অনৈতিক দাবির কাছে মাথা নত করছে। অন্য দিকে রেলের জায়গায় ছোটখাটো দোকানদারদের বিরুদ্ধে প্রতিমাসে পর্যায়ক্রমে একটি করে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠাচ্ছে পুলিশ। সেই মামলায় জামিন পেতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রতিমাসে আদালতে হাজির হয়ে গুনতে হচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার রামপুরহাট স্টেশন মাষ্টার হাদিউজ জাম্মানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন। তার আগে স্টেশনের প্রধান প্রবেশ পথে অবস্থানে বসে তারা। অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ত্রিদিব ভট্টাচার্য, রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত।
প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রেকিব বলেন, “আমরা পাঁচ দফা দাবিতে এদিন স্মারকলিপি দিলাম। তার মধ্যে অন্যতম স্টেশন চত্বরে চুরি ছিনতাই কমাতে হবে। হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপর থেকে আরপিএফের জুলুমবাজি বন্ধ করতে হবে। কোনো হকারের কাছ থেকে তোলা নেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো যাবে না। স্টেশনের বাইরে শৌচালয় নির্মাণ করতে হবে। সেই সঙ্গে পুনরায় সাইকেল স্ট্যান্ড চালু করতে হবে”।
সংগঠনের সম্পাদক নিয়ামত আলি বলেন, “রামপুরহাট মহকুমার মানুষের লাইফলাইন ট্রেন বলতে বিশ্বভারতী ফার্স্ট প্যাসেঞ্জার। করোনা অতিমারির সময় থেকে ওই ট্রেনকে স্পেশাল তকমা দিয়ে ভাড়া দিগুন করা হয়েছে। অবিলম্বে ওই ট্রেনের ভাড়া পূর্বের অবস্থায় ফেরাতে হবে”।
স্টেশন মাষ্টার হাদিউজ জাম্মান বলেন, “স্মারকলিপি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে আরপিএফ এবং জিআরপির আধিকারিকদের ডেকে সংগঠনের দাবি গুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আবেদন জানান। সাইকেল স্ট্যান্ড দু-একদিনের মধ্যে চালু হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।