আমাদের ভারত,১ অক্টোবর:হাথরাস ঘটনায় বড় বয়ান দিলো উত্তর প্রদেশ পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে হাথরাসের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের উল্লেখ ছিল না। বলা হয়েছিল শরীরের একাধিক জায়গায় জোরালো ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু ধর্ষণের কোনো প্রমাণ মেলেনি। আর মৃত্যুর কারণ হিসেবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলা হয়েছে।
পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে ওই নির্যাতিতার ধর্ষণ হয়নি। উত্তর প্রদেশে পুলিশের এডিজি ল অ্যন্ড অর্ডারের প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন নির্যাতিতা শরীরে ধর্ষণের কোন প্রমাণ মেলেনি। তবে তিনি জানিয়েছেন, নির্যাতিতাকে কে বা কারা এমন নৃশংসভাবে খুন করেছে তা তদন্ত করছে পুলিশ। তবে অকারণে ধর্ষণের বিষয় তুলে যারা উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে হলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ।
যদিও এই ঘটনার পর প্রথম থেকেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পদক্ষেপ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফলে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল তদন্তের জন্য। নির্যাতিতা সঙ্গে নৃশংসতার ঘটনার খবর শিউরে উঠেছে দেশবাসী। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ থেকে শুরু করে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সকলেই এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছিলেন এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
হাসপাতালে ১৪ দিন লড়াই করার পর মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। উত্তর প্রদেশের পুলিশ দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল থেকে নির্যাতিতার দেহ বাড়ির সামনে এনে দাহ করে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ দাহ করার সময় পুলিশ কাউকে সেখানে যেতে দেয়নি। লাঠিচার্জেরও অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে প্রথম দিকে সঠিক সময় চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগও করা হয়েছে। পরিবারের তরফে গণধর্ষণের অভিযোগ করা হলেও
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নির্যাতিতার শরীরে ঘাড় থেকে শুরু করে শিরদাঁড়া একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু রিপোর্টে কোথাও কোনো ধর্ষণের উল্লেখ ছিল না বলেই জানিয়েছেন পুলিশ।