স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ১ ডিসেম্বর:
রাত পোহালেই শান্তিপুরের ভাঙ্গা রাস। আর এই ভাঙ্গা রাসই এবার জৌলুসহীন। শোভাযাত্রা বন্ধ নেই রাই রাজা। নগর পরিক্রমার জন্য রয়েছে সরকারি একাধিক বিধিনিষেধ।
শান্তিপুরের বারোয়ারি এবং বিগ্রহ বাড়িগুলির জন্য একাধিক বিধির কথা বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। খোলামেলা মন্ডপ করতে হবে। মণ্ডপে যাতে জনসমাগম না হয় তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রতি মণ্ডপে স্যানিটাইজার এর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। মাস্ক ছাড়া যেন কেউ মণ্ডপে প্রবেশ না করতে পারে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। শান্তিপুরে রাসের এক বড় আকর্ষণ রাসের শোভাযাত্রা। নানা বিগ্রহ বাড়িগুলি তাদের বিগ্রহ নিয়ে এবং বারোয়ারিগুলি তাদের প্রতিমা নিয়ে সুদৃশ্য ট্যাবলো এবং আলোকসজ্জা নিয়ে নগর পরিক্রমায় বার হয়। শোভাযাত্রা নির্দিষ্ট পথ দিয়ে গিয়ে বারোয়ারিগুলি তাদের প্রতিমা বিসর্জন দেয়, আর বিগ্রহ বাড়িগুলো তাদের বিগ্রহ নিয়ে নিজেদের দেবালয়ে ফিরে যায়।
বিগ্রহ বাড়ির মূল আকর্ষণ রাইরাজা, ময়ূরপঙ্খী গান সহ বিভিন্ন ট্যাবলো। কিন্তু এ বছর এসবের অনুমতি মেলেনি। প্রশাসনের তরফ থেকে উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শোভাযাত্রার যে নির্দিষ্ট পথ আছে সেই পথ দিয়েই শোভাযাত্রা যাবে প্রতিমা নিয়ে। তবে প্রতিমা নিয়ে কোনওরকম জাঁকজমক চলবে না। প্রতিমা বা বিগ্রহের সঙ্গে থাকবে আলোর ব্যবস্থা, এছাড়া অন্য কোনও ট্যাবলো বা গেটের অনুমতি দেওয়া হবে না। আবার বিগ্রহ বাড়ির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে সঙ্গে একটা করে কীর্তনের দল রাখা যেতে পারে।
এবছর কোথাও থাকছে না কোনও যাত্রী আবাস কেন্দ্র। কোনও বিগ্রহ বাড়িতেই এবছর সারারাত দেব বিগ্রহ রাস মঞ্চে থাকছেন না। তাই এবার শান্তিপুর বাসীর মন খারাপ। বহু বছরের ঐতিহ্যপূর্ণ রাস যাত্রা করোনা আবহে যেন কোথাও মানুষের আবেগকেও স্তব্ধ করে দিয়েছে।