আমাদের ভারত, ২০ জানুয়ারি:মধ্যপ্রদেশের রতলাম জেলার সুরানা গ্রামে হিন্দু পরিবারের উপর মুসলিমদের নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে হিন্দুরা গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল। কারণ দিনের পর দিন গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি পাচ্ছিল তারা । বিষয়টি নজরে আসতেই তৎপর হয়ে ওঠে শিবরাজ সরকারের প্রশাসন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র স্থানীয় প্রশাসনের একটি দল গ্রামের পাঠিয়ে সমগ্র ঘটনার রিপোর্ট জানতে চান। প্রশাসনের তৎপরতায় হিন্দু পরিবারগুলি তাদের বাড়ির দরজায় বাড়ি বিক্রির যে বিজ্ঞাপন লিখেছিলো তা মুছে ফেলে। একইসঙ্গে দখলদারিত্বের অভিযোগে অভিযুক্ত বেশ কয়েকজন মুসলিম গ্রামবাসীর অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন।
সুরানা গ্রামের হিন্দুদের হুমকির মুখে পরতে হচ্ছে জানতে পেরে, রতলাম জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার গ্রামে যান। সেখানে সবার সাথে কথা বলে হিন্দু পরিবারগুলিকে তারা নিরাপত্তার আশ্বাস দেন।
রতলামের জেলাশাসক কুমার পুরুষোত্তম বলেছেন,”সুরানা গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে বিবাদের খবর পেয়েছিলাম। দখলদারির বিষয়টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অস্থায়ী পুলিশ পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। হুমকির ভয়ে কাউকে আর পালাতে হবে না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুকেশ জাঠ নামে হিন্দুত্ববাদী নেতার সঙ্গে ময়ূর খান নামে গ্রামের অপর এক বাসিন্দার বিরোধ। আর বিরোধকে কেন্দ্র করেই হিন্দু পরিবারগুলোকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই গ্রামে ৬০ শতাংশ মুসলিম ও ৪০ শতাংশ হিন্দু। ফলত গ্রামে সংখ্যালঘু হওয়ায় ভয় পেয়ে ভিটে মাটি বিক্রি করে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবার গুলি। এমনকি ঘটনা জানার পরেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ ছিল হিন্দুদের।