মাঝ নদীতে মদ্যপ অবস্থায় পর্যটকদের উদ্দাম নাচ, বাধা দেওয়ায় আক্রান্ত পুলিশ

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ১১ জানুয়ারি: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের কুমিরমারি বাজারে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পে সোমবার সকালে আচমকাই চড়াও হন এলাকার সাধারণ মানুষজন। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী গাজি মুস্তাফা সহ দুই কনস্টেবলকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, রবিবার রাত দশটা নাগাদ কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যেই মাঝ নদীতে একদল পর্যটক মদ্যপ অবস্থায় নাচানাচি করছিলেন। রাতে নদীতে টহলদারির সময়, পুলিশকর্মীরা তা দেখেন। সুন্দরবন কোস্টাল থানার এএসআই গাজি মোস্তাফা সেখানে গিয়ে নাচ গান বন্ধ করতে বলেন। সেই সময় পর্যটক ও লঞ্চের কর্মীদের সাথে বচসা হয় পুলিশের। পর্যটকদের অভিযোগ, বিনা কারণে লঞ্চের সারেঙ্গকে লাথি মারেন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার। রাতে বিষয়টি সাময়িক মিটলেও সোমবার সকালে পর্যটকরা এবং লঞ্চের মাঝি সহ অন্যান্য কর্মীরা এ বিষয়ে কুমিরমারি বাজারে এসে স্থানীয় মানুষজন ও দোকানদারদের কাছে বিষয়টি জানান। তখনই বাজার থেকে বেশ কিছু লোকজন কুমিরমারি বাজারে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে চড়াও হয় গাজি মোস্তাফার উপর। ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী সহ মোট তিনজন পুলিশ গুরুতর জখম হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনায় এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব জড়িত বলে দাবি পুলিশের একাংশের। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে বিধায়ক সকলেই। উল্টে ঐ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধেই তোলাবাজি চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সেই তোলার টাকা না দেওয়ার কারণেই লঞ্চের মাঝিকে লাথি মেরেছেন ঐ পুলিশ কর্মী, এমনটাই অভিযোগ তাঁদের।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here