আমাদের ভারত, ৩১ আগস্ট:ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক শব্দ দুটি বাদ দিয়ে দেওয়া হোক। এমনই একটি জনস্বার্থ মামলা হল সুপ্রিম কোর্টে। যারা মামলা করেছেন তাদের দাবি, এই শব্দ দুটি সংবিধানের মূল ভাবনা এবং ভারতের ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি যে ভাবনা রয়েছে তার বিরোধী।
যদিও এই দুটি বিষয় ঘিরে দীর্ঘ সময় ধরেই
দেশের ভিতরে তথা রাজনৈতিক আঙিনায় চাপানউতোর চলছে। কিন্তু এবার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে গেল। মামলাকারীদের মধ্যে আছেন দুজন আইনজীবী বলরাম সিং ও করুনেশ কুমার শুক্লা ও তৃতীয় মামলাকারীর নাম রমেশ কুমার।
১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এই দুটি শব্দ সংবিধানের প্রস্তাবনা জায়গা পেয়েছিল। মামলাকারীদের মতে সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং ধর্মাচরণে যে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে সেই ধারাগুলির পরিপন্থী এই দুটি শব্দ। তাদের যুক্তি ভারতের প্রাচীন সভ্যতায় ধর্মের ভাবনা রয়েছে । আর সেই দেশের প্রেক্ষাপটে কমিউনিস্ট তত্ত্ব থেকে আমদানি করা চিন্তাকে চাপিয়ে দেওয়া চলে না।
এছাড়াও, নির্বাচন কমিশনে যখন কোন রাজনৈতিক দল স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে তখন তাদেরকে এই দুটি শব্দের গুরুত্ব মেনে চলতে হয়। তারা এই ধর্মনিরপেক্ষ এবং সমাজতান্ত্রিক শব্দগুলিকে কেন জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের যুক্ত করা হলো তাকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন শীর্ষ আদালতে।
তাদের আর্জি কোনো নাগরিক, রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংস্থার ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষ সমাজতান্ত্রিকের মত শব্দগুলি যাতে কার্যকর না হয় তা ঘোষণা করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিক আদালত।
তাদের মতে শব্দ দুটি সংবিধানের মূল সুর ও ভারতের ঐতিহ্যের সঙ্গে বেমানান। এছাড়াও কমিউনিস্ট চিন্তাভাবনা সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ভারতের ধর্ম বিশ্বাস এবং ধর্ম চরণের ক্ষেত্রে যে মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে তা ধর্মনিরপেক্ষ শব্দের সঙ্গে মানানসই নয়।
জানলাম। ভালো লাগল। ধন্যবাদ