আমাদের ভারত, ৬ জুন: ভারতের উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লুটিক সরিয়ে নিল ট্যুইটার। যদিও পরে আবার তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৩ লক্ষ অনুগামী আছে। গত ৬ মাস ধরে অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় থাকায় টুইটার তার নিয়মবিধি অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লুটিক সরিয়ে নেয় বলে সুত্রের খবর। গত রবিবার একই কারনে আরএসএস প্রধান মহন ভাগবত সহ আরও ৪ জন উচ্চ নেতৃত্বের অ্যাকাউন্ট থেকেও ব্লুটিক সরিয়ে নিয়ে ছিল বলে জানা গেছে। তবে উপরাষ্ট্রপতি অফিসিয়াল একাউন্ট থেকে ব্লুটিক সরায়নি টুইটার।
ট্যুইটারের তরফ থেকে এই কাজ করা হয়েছে বলে স্বীকার করে জানানো হয়েছে। তাদের বক্তব্য, উপরাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট গত ২৩ জুনের পর থেকে সক্রিয় ছিল না তাই ব্লুটিক সরানো হয়েছিল। বিশিষ্ট, সঠিক এবং সক্রিয় অ্যাকাউন্টকে সাধারণত টুইটারের তরফ থেকে ব্লুটিক দেওয়া হয়। মুলত সরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সংবাদমাধ্যম সংস্থা, সাংবাদিক, বিনোদন এবং ক্রীড়া জগতের ব্যক্তিদের ভেরিফায়েড বলে বিচার করে।
ট্যুইটারের নিয়মবিধি অমান্য হলে যে কোনও অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লুটিক সরান যেতে পারে বলে মন্তব্য ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের। তবে সরকারি সুত্রে জানা গেছে, আগাম সংকেত ছাড়াই কেন টুইটার ভারতের উপরাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লুটিক সরিয়ে নিল, তার জন্য টুইটারকে নোটিশ জারি করবে।
মুম্বাইয়ের বিজেপি নেতা সুরেশ নাখুয়া এই প্রসঙ্গে টুইটারকে তুলোধনা করে টুইট করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতির অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লুটিক সরিয়ে নেওয়া হল, এই পদক্ষেপ ভারতের সংবিধানকে অপমান করা।
বেশ কয়েক দিন ধরে দেশে লাগু হওয়া নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন নিয়ে টুইটারের সঙ্গে বিবাদ চলছে। বিতর্ক আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে। সেই সুত্রেই এই কাজ এবং ভারত সরকারের ধৈর্যের পরীক্ষা নিতে চাইছে টুইটার, বলেও দাবি সরকার পক্ষের।