ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বর্জ্য থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ রায়গঞ্জ পুরসভার বন্দর শ্মশান কলোনীর বাসিন্দারা, ছড়াচ্ছে একাধিক রোগ

স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২২ ডিসেম্বর: শহরের সমস্ত বর্জ্য ও নোংরা আবর্জনার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধে প্রাণ অতিষ্ঠ রায়গঞ্জ পুরসভা এলাকার বন্দর শ্মশান কলোনীর বাসিন্দাদের। ছড়াচ্ছে দূষণ, শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে নানান রোগের প্রাদুর্ভাব। পুরসভার এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকার বাসিন্দাদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রায়গঞ্জ পুরসভার ২৬টি ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকার যাবতীয় নোংরা আবর্জনা থেকে বর্জ্য পদার্থ ফেলা হয় পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বন্দর শ্মশানঘাট সংলগ্ন ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। শহরের নালা নর্দমার নোংরা ময়লা থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য পদার্থ এমনকি পায়খানার সেফটি ট্যাঙ্কের বর্জ্য , মলমূত্র সবকিছু পেলা হয় এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। কুলিক নদীবাঁধের রাস্তার একপাশে রয়েছে পুরসভার এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড বা ভ্যাট আর অপর পাশে রয়েছে বিশাল কলোনী। সেই কলোনীতে বসবাস করেন কয়েক হাজার বাসিন্দা। এছাড়াও এই নদীবাঁধের রাস্তা দিয়ে চলাচল করে অসংখ্য ছোট যানবাহন থেকে শয়ে শয়ে পথচারী। পুরসভার সাফাইকর্মীদের ফেলে যাওয়া নোংরা আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থের দুর্গন্ধে প্রাণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বন্দর শ্মশান কলোনীর বাসিন্দা থেকে নদীবাঁধের রাস্তার উপর দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষের। এলাকায় ক্রমশই ছড়াচ্ছে দূষণ। গবাদি পশু থেকে কুকুর, বিড়াল, কাক মুখে করে নোংরা বর্জ্য পদার্থ এনে ফেলছে এলাকার বাড়িঘরগুলিতে। এরপর প্রতিদিন সন্ধ্যায় সেই ডাম্পিং গ্রাউন্ড বা ভ্যাটের ময়লা আবর্জনা আগুন দিয়ে পোড়ানোর কারণে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে বিষাক্ত ধোঁয়া যা নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের কাছে। প্রায় সবসময় ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে তাঁদের। এক দমবন্ধ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে বন্দর শ্মশান কলোনীর বাসিন্দাদের।

শুধু এলাকার বাসিন্দাদেরই নয়, এই দুর্ভোগ পোহাতে হয় নদীবাঁধের রাস্তার উপর দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ থেকে ছোট ছোট যানবাহন চালকদেরও। ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গেলে দুর্গন্ধ এড়াতে নাকে মুখে কাপড় দিয়ে চলাফেরা করতে হয় সাধারণ মানুষদের। পাশাপাশি রয়েছে চরম দূষণ। বাড়ছে নানান রোগ। এক অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here