আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৫ জুন: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবর্জনা, দুষণমুক্ত ও উষ্ণায়ণমুক্ত সবুজ প্রাণের সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলি এই আহ্বান নিয়ে নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির হোম আবাসিকরা প্রতিবছরের মত এবছরও বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করল। করোনা স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিজেদের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন, স্যানিটাইজার, চুন-ব্লিচিং ছড়ানো, ঝাঁট দেওয়া ও বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচির আবাসিকরা ক্যাম্পাসের মধ্যে করোনা স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের কর্মসূচিতে সামিল হয়।
এছাড়াও নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে চারাগাছ রোপন, সুশীল সরোবরের চারপাড় পরিষ্কার পরিচ্ছন করে তোলা সৌন্দর্যায়নের জন্য বিভিন্ন পাতাবাহারি গাছ রোপন করা হয়। সংস্থার সম্পাদক জানান, প্রতিবছরই আমরা বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করে থাকি এবছর তার ব্যতিক্রম নয়। করোনা যতই থাকুক প্রাণী জগতের অস্তিত্ব যস, আমফান, আয়লার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় রুখতে হলে দূষণমুক্ত সবুজ প্রাণের পৃথিবী একান্ত জরুরি। বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধ সৌন্দার্যায়নের জন্য আমরা কোলাঘাট মোড় থেকে নন্দকুমার চৌরাস্তা পর্যন্ত ৪১নং জাতীয় সড়কের মাঝখানে ৩৫০০টি বকুল চারা লাগিয়েছি সেগুলো রক্ষণা বেক্ষণ করে তোলা হচ্ছে এবং এই গাছগুলো মেদিনীপুরে স্বাধীনতা সংগ্রামী ও আগত কৃতি ব্যক্তিদের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।
এছাড়াও এবছর ২০ হাজার মেহগিনি, বকুল, কৃষ্ণচূড়া, সোনাঝুড়ি চারা গাছ আজ থেকে আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত বিনা পয়সায় বিতরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এক কথায় বলতে পারি, প্রতিটি সন্তান-সন্ততিরা যেমন পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালনের সাথে শ্রদ্ধা ভক্তির জ্ঞানে তাদের উচিত বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করা। পৃথিবীকে দুষণমুক্ত গড়ে তোলা আমাদের প্রতিটি নাগরিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ও কর্তব্য আবর্জনা মুক্ত, দূষণ মুক্ত, উষ্ণায়নমুক্ত সবুজ প্রানের পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য আমরা এই দায়িত্ব বা কর্তব্য পালনটাকে বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে দেখিনা। আমরা যেমন এগিয়ে এসেছি তেমনি সমাজের প্রতিটি সংস্থার সাথে সাথে নাগরিকদের আহ্বান জানাব এই সামাজিক দায়িত্ব কর্তব্য পালনে এগিয়ে আসার জন্য এর জন্য সরকারের আবেদনের বিশেষ প্রয়োজন নাই এটা একটা সামাজিক দায়িত্ব। গাছ একজন নাগরিক একটি গাছ যদি রোপন ও সংরক্ষণ করতে পারেন তাহলে এ থেকে বড় উপহার সমাজের জন্য আর কিছু হতে পারে না। কোভিডকে আমরা পরাজিত করতে পারব এমন একদিন আসবে যেদিন দূষণ, উষ্ণায়ন কোনও টিকা বা ভ্যাকসিন দিয়ে রোধ করতে পারব না তার জন্য চাই চির সবুজ গাছ। আর সেই চির সবুজ গাছ বিজ্ঞানীরা ঠান্ডা ঘরে বসে আবিষ্কার করতে পারবেন না পারবে আপনার আমার মতো সচেতন নাগরিক, সরকার প্রশাসন আর তার জন্য অনেক গুলো বছর সময় লাগবে। রাতারাতি এক বছরে হবে না। গাছ অক্সিজেন দিতে, মাটিক্ষয় রোধ করতে বা বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে ভূমিকা পালন করতে অনন্ত দশ বছর সময় দিতেই হবে তাই আসুন আমরা সব রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিপার্শিক, ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সামিল হয়ে আবর্জনা ও দুষণমুক্ত বিশ্ব উষ্ণায়নমুক্ত সবুজ প্রানের সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলি। এই কর্মসূচিতে আমাদের হোমের আবাসিকরা সক্রিয় অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সামাজিক দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে পারল তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।