স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ৩ জুলাই : রায়গঞ্জ ব্লকের পিরোজপুর এলাকায় কুলিক নদী বাঁধ অসম্পূর্ন থাকায় চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন রায়গঞ্জ শহরের বাসিন্দারা। সেচ দপ্তরের আধিকারিকের দাবি বর্ষার মরসুমে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না। খরা মরসুমে আসামাপ্ত বাঁধ নির্মানের কাজে হাত দেবার পরিকল্পনা আছে।
রায়গঞ্জ শহরকে কুলিক নদীর জলের হাত থেকে রক্ষা করতে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। রায়গঞ্জ ব্লকের পিরোজপুর এলাকা পর্যন্ত গিয়ে সেই বাঁধ নির্মানের কাজ থমকে যায়।২০০১ সাল থেকে সেই বাঁধ নির্মানের কাজ থমকে আছে।কুলিক নদীর জল বাড়লেই এই পথ দিয়ে জল ঢুকে প্রতিবছর রায়গঞ্জ শহরকে প্লাবিত করে। এবারেও কুলিক নদীর জল বেড়েছিল। জল বাড়লেই রায়গঞ্জ শহরের মানুষ বন্যার আতঙ্কে দিন গোনে।
জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০০১ সাল থেকে জমি জটের কারনেই বাঁধ নির্মানের কাজ থমকে আছে। সেচ দপ্তরের এই অভিযোগ মানতে চাননি কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রশান্ত দাস। প্রশান্তবাবু জানিয়েছেন, ২০০১ সালে বাঁধ নির্মান করা হয়েছিল। বাঁধ উচুঁ হলে ওই এলাকার মানুষ যাতায়াতের সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন। এই আশঙ্কা করে এলাকার মানুষ বাঁধ উচুঁ করতে দেয়নি। নদীর নাব্যতা কমে যাবার ফলে নদীর জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পথ দিয়ে জল শহরে ঢুকে পড়ছে। প্রধান জানিয়েছেন, সেচ দপ্তর অসামাপ্ত বাঁধের কাজ করতে চাইলে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে সবরকম সহায়তা করা হবে।