পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৯ জুন: পুনর্ভবা নদীর জলস্ফীতিতে তপনে বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেল কয়েকশো কৃষকের ফসল। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুই পঞ্চায়েতের মানুষজনের। বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে বিভিন্ন এলাকায়। তপন ব্লকের রামপাড়া চ্যাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নওগা পদপাড়া এলাকার ঘটনা। রবিবার মধ্যরাতে ওই ঘটনার জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম সংকটে পড়েছেন দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা।
জানা গেছে, তপন ব্লকের রামচন্দ্রপুর এবং রামপাড়া চ্যাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল পুনর্ভবা নদীর ওই বাঁধ। এর আগেও নদীতে জল বাড়লে কিংবা বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলেই একাধিকবার ওই এলাকায় বাঁধ ভাঙ্গার ঘটনা সামনে এসেছে। বাসিন্দারা নিজেদের অসুবিধার কথা তুলে ধরে বারংবার সেই বাঁধ বোল্ডার, পাথর দিয়ে বাঁধানোর দাবি তুললেও কোনো কাজ করেনি প্রশাসন বলে অভিযোগ। যার ফলে প্রায় প্রতিবছরই ক্ষতির মুখে পড়তে হয় এলাকার কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের।
বিগত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। রবিবার বৃষ্টি না হলেও রাতে হঠাৎ করে জলস্তর বেড়ে যায় পুনর্ভবা নদীর। আর যার চাপে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা। জলে তলিয়ে কয়েকশো কৃষকের জমির ফসল, অভিযোগ বাসিন্দাদের। বাড়িতে বাড়িতে নদীর জল ঢুকে পড়ায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষজন।
এলাকার বাসিন্দা দুলাল সরকার, বিমল চক্রবর্তী ও গণেশ সরকাররা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। জলে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে শ’য়ে শ’য়ে কৃষকের জমির ফসল। আগে থেকে এই বাঁধ মেরামতের কথা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। প্রশাসনের এমন উদাসীনতার জেরে ফসল নষ্ট হয়ে প্রায় প্রতিবছরই চরম সমস্যায় পড়েন এলাকার কৃষকরা।
তপন ব্লকের বিডিও মাসুদ করিম শেখ জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পেয়েছেন। তড়িঘড়ি ওই এলাকা বালির বস্তা দিয়ে মেরামতের কাজ করবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমগ্র বিষয় খতিয়ে দেখে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।