আমাদের ভারত, ২২ জানুয়ারি: বেশ কিছু দিন ধরেই ইঙ্গিত মিলেছিল। সম্ভবত শুভেন্দুর পথের পথিক হতে চলেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সম্ভাবনা সত্যি হয়ে গেল ঠিক মোদী রাজ্যে আসার আগের দিনেই। ২৩ জানুয়ারি শনিবার কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই শুভেন্দুকে অনুসরণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের বনদপ্তরের মন্ত্রী।
একুশের বিধানসভার আগে এই নিয়ে তিন জন মন্ত্রী ইস্তফা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এই তিন জনই তরুন, যথেষ্ট সম্ভাবনাময় রাজনীতিক ছিলেন। রাজ্যের রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারী যেমন জনপ্রিয়তা রয়েছে ঠিক তেমনি রাজীব ও লক্ষ্মীরতন শুক্লা দুজনেরই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ভাবমূর্তি রয়েছে।
শুভেন্দুকে দলে ধরে রাখতে যে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল রাজিবের ক্ষেত্রে সেটা দেখা যায়নি। যদিও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজীবের সঙ্গে দুবার বৈঠক করেছেন। ববি হাকিম ও তার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল শুভেন্দুর মতোই রাজীবও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। সেই জন্যই তাকে ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টায় করে দলের বাইরে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা থেকে তারা হয়তো বিরত হয়েছিলেন বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
তিনি প্রথমে সেচ দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন পরে তাঁকে অনগ্রসরশ্রেণি কল্যাণ দপ্তর এবং শেষে বনদপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যাতে খুশি ছিলেন না রাজীব। নিজে সেই অসন্তোষের কথা জানিয়েছিলেন। বনদপ্তরের দায়িত্ব নিতে চাননি, বলেছিলেন “আমি মন্ত্রিসভায় থাকতে চাই না”। তখন তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল তাঁর গুরুত্ব বাড়ানো হবে। কিন্তু আখেরে এটা হয়নি বলেই রাজীব ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ। বেশ কয়েকবারই প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই ফেসবুক লাইভে দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল উভয়ের কাছেই তাঁর পদত্যাগপত্র পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর। মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেও বিধায়ক পদে রয়েছেন ডোমজুড়ে বিধায়ক। এখনোও পর্যন্ত দলের প্রাথমিক সদস্যপদ তিনি ছাড়েননি।
রাজীবের ইস্তফার ঘটনায় দিলীপ ঘোষ বলেছেন,’ বিজেপির দরজা বহুদিন ধরেই খুলে রেখেছি,তাকে স্বাগত জানানো হয়েছে,বিজেপিতে তিনি এলে বিজেপি লাভবান হবেন”।