পাড়ায় পাড়ায় রাজ্যপাল! সোমবার বেহালায় গিয়ে চণ্ডী মন্দিরে পুজো দেওয়ায় জল্পনা

রাজন রায়, কলকাতা, ৪ জানুয়ারি: শাসকদলের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, বিরোধী দলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন রাজ্যপাল। বঙ্গ বিজেপি থেকে তাকে বেশি সক্রিয় থাকতে দেখা যায়। সোমবার বেহালা শখের বাজারে গিয়ে মা চণ্ডীর মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি নতুন সরকারি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন, যার নাম ছিল পাড়ায় পাড়ায় সমাধান। অর্থাৎ স্থানীয় স্তরে কোথাও কোনও চাহিদা, ক্ষোভ অসন্তোষ থাকলে তার দ্রুত সমাধান। অনেকেই মনে করছেন ভোটের আগে এইসব মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট। কারণ ১৯ এর লোকসভা ভোটের পর আন্দাজ করা গিয়েছিল দলের নিচু তলায় মারাত্মক বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে।

সরকার তথা শাসক দলের উদ্যোগ যখন এমনই তখন রাজপালও প্রায় পাড়ায় পৌঁছে যাচ্ছেন। তারপর স্থানীয় কোনও জাগ্রত মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। স্থানীয় লোকজন তাকে দেখতে করেছেন ভিড়। তিনি তাদের দেখে হাত নাড়াচ্ছেন। তার পর তিনি বলেন, ”শুনুন ২০২১ কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করছি প্রতিটি ব্যক্তি তাদের সর্ব শক্তি লাগিয়ে দেবেন। এর ফলে বাংলার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।”

সোমবার বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দির এবং ১০৮ শিব মন্দিরে গিয়েও পুজো দেন জগদীপ ধনকর। দেখা গিয়েছে, পুজো দিয়ে তিনি যখন বেরচ্ছেন মন্দিরের বাইরে জমা হয়েছে লোকজনের ভিড়। কম বেশি সবাই মোবাইল উঠিয়ে তুলেছেন ছবি। হাতও নাড়িয়েছেন। আর রাজ্যপাল তাদের সামনে হাতজোড় করে বিনয়ের সাথে বলেছেন, নতুন বছরে হিংসা কম হোক, বজায় থাকুক শান্তি, পারস্পরিক সদ্ভাব সুদৃঢ়।

যে সরকার যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকে, সে তার নিজের পছন্দ মতো রাজ্যপাল নিয়োগ করে। বর্ধমান সার্কিট হাউজে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, বাংলায় চলছে সিন্ডিকেট রাজ। গণবন্টন তথা রেশন ব্যবস্থা নিয়ে চলছে রাজনীতিকরণ। বালি, কয়লা পাচার করা হচ্ছে। এই সব পচারের সময় নাকি স্লিপ ইস্যু করা হয়, তাও শুনেছি। সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে তদন্ত করা হবে। আমফানের টাকাও চুরি করা হয়েছে। যার বাড়ি রয়েছে সেও টাকা পেয়েছে। বাইরে থেকে কেউ এলেই বহিরাগত বলা হচ্ছে। প্রাদেশিকতার সংকীর্ণ রাজনীতি হচ্ছে।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here