
নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ৩ মে: দলে বড় দায়িত্ব পেয়েই রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে বসেই সুজিত বসুকে ফোন সব্যসাচী দত্তর। সদ্য রাজ্য বিজেপির সম্পাদক পদে আসিন হয়েছেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র। তৃণমূল ছাড়ার পরে রাজ্যের দমকলমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ একেবারেই ছিল না সব্যসাচী দত্তর। কিন্তু রাজনৈতিক যুদ্ধ থাকলেও একসময়ে সহকর্মীর খোঁজ নিতে কোনও কুন্ঠাবোধ করলেন না রাজারহাটের বিজেপির বিধায়ক।
সোমবার বিজেপির রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়। সব্যসাচী দত্তকে রাজ্য বিজেপির সম্পাদক পদে নিয়োগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার
বিকেল চারটে নাগাদ রাজ্য বিজেপির প্রথমসারির নেতাদের সামনেই সব্যসাচী দত্ত ফোন করলেন সুজিত বসুকে। প্রথমে অবশ্য সুজিত বসু বিজেপির সম্পাদক সব্যসাচী দত্তর ফোন ধরেননি। কিন্তুু ভালো থাকার বার্তা দিয়ে দমকল মন্ত্রীকে ম্যাসেজ করেন তিনি। তারপর ঠিক পাঁচটার পরে কলব্যাক করেন দমকল মন্ত্রী। দুরত্ব ঘুচিয়ে দুজনেই কথা শুরু করেন। প্রথমেই সুজিত বসুর শরীরের খোঁজ নেন সব্যসাচী দত্ত। তারপরেই তার স্ত্রীর খোঁজ নেন তিনি। কারন সুজিত বসুর স্ত্রীও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। দুজনেই নিজের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন। কথা বলতে বলতেই ফোনে সুজিত বসু বলেন, তাঁর ছেলেরও করোনা পজেটিভ এসেছে। ফোনে খবরটা শুনতেই আঁতকে ওঠেন সব্যসাচী দত্ত। তারপরে ফোনেই তিনজনকে বিশ্রাম নেবার পরামর্শ দিয়ে ফোন রাখেন মুকুল ঘনিষ্ঠ এই বিজেপি নেতা।
তবে সৌজন্যের এই ফোনও নিয়ে কোন রাজনৈতিক রং জড়াতে চান না সব্যসাচী দত্ত। তিনি বলেন, অনেকদিন আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। আজ দুজনে দুই দলে। তাইবলে একসময়ের সহকর্মী ও বন্ধুর অসময়ে খোঁজ নেবো না?