আমাদের ভারত, হুগলী, ৩০ মার্চ: শেওড়াফুলির সরকার পাড়ার গাঙ্গুলি বাজারের বাসিন্দা ৫৯ বছরের প্রৌঢ়। তিনি ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস ট্রেনে করে দুর্গাপুরে কাজ করতে যেতেন। বাড়িতে স্ত্রী ও আট বছরের একটি ছেলে আছে। ওঁনার স্ত্রী নিয়মিত বাজারে, দোকানে যেতেন। তাঁর বাড়ির পাশেই তার ভাইয়ের বাড়ি। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান। ওই প্রৌঢ়েের করোনা পজিটিভের খবর আসতেই সোমবার তাদের গাড়ির চালক সহ তাদের পরিবারের মোট সাত জনকে সোমবার দুপুরে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের আইসোলেসন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
এলাকায় আতঙ্ক কাটাতে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর পাল গাড়ি করে এলাকায় প্রচার করছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও দমকলের পক্ষ থেকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। বৈদ্যবাটি পুরসভার পক্ষ থেকেও এলাকা জীবাণু মুক্ত করার পাশাপাশি আতঙ্ক না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পুরপ্রধান অরিন্দম গুইন জানান ভয় না পেয়ে প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করলে সংক্রমণের সম্ভাবনাও কম হবে। এদিকে গত ১৬ তারিখ থেকে অসুস্থ হওয়ার পর প্রদীপ বাবু উত্তর পাড়ায় এক চিকিৎসকের ক্লিনিকে গিয়েছিলেন ডাক্তার দেখাতে, সেখানেও উত্তরপাড়া পুরসভার পক্ষ থেকেও জীবানুমুক্ত করার কাজ করা হয়। একই সাথে চন্দননগরের একটি নার্সিংহোমে অসুস্থতার সময়ে ভর্তি হয়েছিলেন সেখানেও স্যানিটাইজ করা হয় এদিন।
এদিন করোনা প্রতিরোধে হুগলীর জেলা সদরে শুরু হল সেনিটাইজেশনের কাজ। এদিন বেলার দিকে জেলা শাসকের দপ্তর, হাসপাতাল, কোর্ট সহ বিভিন্ন জায়গায় পুরসভা এবং দমকলের পক্ষ থেকে সেনিটাইজের কাজ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখার্জি। শুধু আজই নয় এর পর থেকে রোজই শহরের সব এলাকা জীবাণু মুক্ত করা হবে বলে মত বিধায়কের।