
আমাদের ভারত,২৬ জানুয়ারি:উত্তর-পূর্ব ও অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মত সংখ্যা রয়েছে মুসলিমদের। সিএএ ও এন আর সি বিক্ষোভে শাহিনবাগে এমনই উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন জেএনইউয়ের পিএইচডি স্কলার শার্জিল ইমাম। তার এই মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হতেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। প্রশ্ন উঠেছে শাহিনবাগের আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য নিয়েও। শারজিল ইমাম আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি এবং বর্তমানে জেএনইউয়ের রিসার্চ স্কলার।
এই বিক্ষোভের অন্যতম মাথা ইমাম ঘোষণা করেন,ভারত থেকে উত্তর-পূর্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য। উত্তর-পূর্বের সঙ্গে ভারতের বাকি অংশের যোগ রয়েছে শিলিগুড়ির কাছে চিকেন নেক এর মাধ্যমে। সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশের যোগাযোগ স্থান রাস্তা ও রেল অবরোধের ডাক দিয়েছেন ইমাম। তিনি বলেন, “আমরা পাঁচ লক্ষ মুসলিম যদি একসাথে আসতে পারি ভারত থেকে উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করে দেবো। পাকাপাকিভাবে না হলেও এক থেকে দু মাস তো করতেই পারব। বিক্ষোভকারীদের সরাতে অন্তত একমাস সময় লাগবেই। আর অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিলেই কেন্দ্র সরকার আমাদের সব কথা শুনতে বাধ্য হবে।”
এই ভিডিওটির প্রকাশ্যে আসার পরেই শার্জিল ইমামের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির একাধিক নেতা। বলেছেন দেখুন শাহিনবাগ এর আসল ছবিটা। বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র বলেছেন “শাহিনবাগের আসল ছবিটা দেখুন। তাদের উদ্দেশ্য ভারত থেকে অসমকে আলাদা করা। তারা বলছে চিকেন নেক মুসলিমদের। এত লোক আনতে হবে যাতে ট্রেনে করে ভারতীয় সেনা যেতে না পারে।”
সম্বিত পাত্র প্রশ্ন তুলেছেন, এটা কি দেশদ্রোহীতার নয়? শার্জিল ইমামের বিতর্কিত মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে, শাহিনবাগের বিক্ষোভ এর আসল উদ্দেশ্য কি? শার্জিল সাফাই দিয়ে বলেছেন, তাদের বিক্ষোভের লক্ষ্য চাক্কা জ্যাম। তারপর বাকি সবকিছু। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, অবস্থান-বিক্ষোভ চাক্কা জ্যামের ফারাক বোঝা উচিত। প্রতি শহরে অবস্থান বিক্ষোভে বসে চাক্কা জ্যাম করার কথা আমি বলছি।” তিনি বলেন, পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ুন।”
दोस्तों शाहीन बाग़ की असलियत देखें:
१)असम को इंडिया से काट कर अलग करना हमारी ज़िम्मेदारी
२)”Chicken Neck” मुसलमानो का है
३)इतना मवाद डालो पटरी पे की इंडिया की फ़ौज Assam जा ना सके
४)सारे ग़ैर मुसलमानो को मुसलमानों के शर्त पर ही आना होगा
If this is not ANTI NATIONAL then what is? pic.twitter.com/kgxl3GLwx1— Sambit Patra (@sambitswaraj) January 25, 2020
একসময় উত্তরপূর্বকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল চীনের। সে কারণেই সেখানে তৎপরতা বেড়ে ছিল তাদের। পরে তারা পিছু হাঁটতে বাধ্য হয়েছিল। এখন একই কথা শোনা যাচ্ছে শাহিনবাগ বিক্ষোভের মূল উদ্যোক্তার মুখে।