
আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৩ মে: বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে সৌগত রায়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলা পার্টি অফিসে সুজন চক্রবর্তী বললেন, হাস্যকর কথা বলছেন সৌগত রায় ও কুণাল ঘোষরা। ৭ দিনে পরপর বাজি বিস্ফোরণ? নাকি বাজির পরিবর্তে বোমা বিস্ফোরণ। ১৬ জন মারা গেল। তারপরেও তৃণমূল নেতারা হাস্যকর কথা বলছেন।
গরম পড়ছে বলে ফেটে যাচ্ছে কে বলছেন সৌগত রায়। কুণাল ঘোষ বলছেন, চক্রান্ত হচ্ছে। ফেসবুকে ছেলেমেয়েরা বলছে, উনি নাকি নুতন ফর্মুলা দিতে পারবেন। E = TMC square. এটা নাকি এখন সৌগত রায়ের হাল হয়েছে। উনি বোমা তৈরির ফর্মুলা দিচ্ছেন। বাজি বিস্ফোরণ নিয়ে অদ্ভুত অদ্ভুত কথা বলছেন। সব বিস্ফোরণ কিন্তু এই গরমে এখনই। এখন প্রশ্ন ওটা বাজি না বোমা।
সৌগত রায়ের রাজ্যে ৩৮ হাজার গ্রাম, পুলিশ কি করে খোঁজ পাবে? এই বক্তব্য প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ঠিকই তো ৩৮ হাজার গ্রাম। পুলিশ বোমা খুঁজে পাবে কি করে? ৩৮ হাজার গ্রাম, পুলিশ দুষ্কৃতী খুঁজে পাবে কি করে? ৩৮ হাজার গ্রাম, কোথায় তৃণমূলের লোকেরা তোলাবাজি করছে বুঝবে কি করে? ভাগটা এসে হাজির হলেই হল আর তো কিছু বোঝার দরকার নেই এদের। সব জায়গায় তৃণমূল। ওরা সব জানে শুধু লুটের বখরা পেলেই হল।
পুলিশের বাজি উদ্ধার নিয়ে সুজন চক্রবর্তী বললেন ঘটনা ঘটে যাবার পর পুলিশ এখন বাজি উদ্ধারে নেমেছে। বারুইপুরে হোক বা বজবজ যেখানেই হোক, পুলিশ এখন চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার আগে পুলিশ মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে হবে। ঘটনার পরে তিনি বলেছিলেন, সাত দিনের মধ্যে সমস্ত বাজি, বোমা, বন্দুক উদ্ধার হবে। পুলিশ মন্ত্রী কেন করেননি। আপাতত ঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য এক দু’ দিন ওরা কাজ করে। কিন্তু আসল ঘটনা হলো লক্ষ লক্ষ মানুষকে রক্ষা করা নিরাপত্তা সঠিক রাখা। সেদিকে লক্ষ্য কোথায়? শুধু টাকার খেলা।
চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, চাকরি প্রার্থীদের প্রত্যেকটি অংশ বিক্ষোভ করছে দাবি করছে। পড়াশোনা করেছে, পরীক্ষা দিয়েছে, পাস করেছে, কিন্তু তাদের কাজ নেই। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হচ্ছে। ৮০০ দিন ধরে রাস্তায় আছে চাকরি প্রার্থীরা। আজ মহিলারা মুখে কালো কাপড় বেঁধে শোক জানিয়েছে। কিন্তু এইসব ওদের দেখানোর কথা নয়। শোক দেখানোর কথা প্রশাসনের সম্পর্কে। প্রশাসনের কর্তারা এমন করছে যে সারা রাজ্য বিপর্যস্ত। অসহায়ের মতো ছেলেমেয়েরা।