
আমাদের ভারত, হাওড়া, ১৫ ডিসেম্বর: ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের সঙ্গে ক্যাব বিরোধী আন্দোলনের তুলনা করলেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, এই ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের একমাত্র তুলনা করা যায় ৪৬ এর দাঙ্গার সঙ্গে। এর পিছনে জেহাদি শক্তির হাত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
গতকাল রাতে সাংগঠনিক কাজে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা কেউ ৪৬ এর ঘটনা দেখিনি কিন্তু তার বর্ণনা শুনেছি। সেই বর্ণনা এখনকার ঘটনার সাথে মিলে যাচ্ছে। দু’দিনের ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলার মানুষ শোহরাবর্দীকে যে চোখে দেখে কিছুদিন বাদে মমতা বানার্জিকেও সেই চোখেই দেখবে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই কাজ রাজ্যের মুসলিমরা করছে না, তারা দেশাত্ববাদী। এর পেছনে রয়েছে জেহাদি শক্তি। বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী যারা এতদিন তৃণমূলের ভোট ব্যাংক হিসাবে পরিচিত এবং এনআরসি হলে যারা বিপদে পড়তে চলেছেন, তারাই এই ঘটনা ঘটাচ্ছে।
সায়ন্তন বসুর আরও অভিযোগ, এটা এই জেহাদিশক্তি এবং তৃণমূলের জয়েন্ট ভেঞ্চার। তাঁর দাবি, রাজ্যে মমতা ব্যানার্জির সরকার যতদিন থাকবে ততোদিন এই রাজ্যে শান্তি ফিরবে না। মুখ্যমন্ত্রী মাঝে শান্তির কথা বললেও তিনি মানুষকে উস্কাছেন।
ক্যাব চালু না করার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, সেই প্রসঙ্গে সায়ন্তন বলেন, কেন্দ্রীয় আইন রাজ্যে প্রবর্তন তিনি আটকাতে পারেন না। রাজ্য সরকার সংবিধান অনুযায়ী চলে, মমতা ব্যানার্জির ইছার ওপরে নির্ভর করে না।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, দুদিন ধরে রাজ্যে যে তান্ডব চলেছে, তার জন্য কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কত জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে, কী কী ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে তার হিসেব দিক রাজ্য সরকার।
তিনি রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী সোমবার তারা হাইকোর্টে এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন।