আমাদের ভারত, ২২ নভেম্বর:যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দ্যেশ্যে সুপ্রিম কোর্ট সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন। স্বভাবতই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে উচ্ছ্বসিত বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন ন্যায়ের জয় হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাই, মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে নিরপেক্ষ বলে দাবি করেন এবার সেটা কাজে প্রমাণ করার সময় এসেছে।
মুকুল রায় সহ এখনও পর্যন্ত পাঁচজন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রতি ক্ষেত্রেই সেই বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য আবেদন জানিয়েছে বিজেপি। আজকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সেইসব বিধায়কদের পদত্যাগ নিয়েও পদক্ষেপ করা যাবে বলে মনে করছে পদ্ম শিবির।
এই রায়ের পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। মুখ্যমন্ত্রী নাকি বলেছেন উনি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে খুব মানেন। আশা করব মুখে ও কাজে একই রকম হবে। উনি ও ওনার পার্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিধানসভার অধ্যক্ষ। যদিও ওনার নিরপেক্ষ থাকার কথা, কিন্তু থাকেন না। তার কাজই মুখ্যমন্ত্রীর কথার প্রমাণ থাকবে।”
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে লেখেন, “ন্যায়ের জয় হলো। ভারতের মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ, মুকুল রায় দলত্যাগের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার জন্য মাননীয় স্পিকারকেও ছেড়ে দেয়নি। ২০১১ সালের পর এই প্রথমবার যখন পশ্চিমবঙ্গের দলত্যাগ সংক্রান্ত আবেদনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তিনি আরো বলেন, “২০১১ সাল থেকে বাম কংগ্রেসের ৫০ জনেরও বেশী বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিলেও তাদের পদ খারিজ বিলম্বিত হতে হতে শেষপর্যন্ত কিছুই হয়নি। কিন্তু এবার সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পর আমরা সুবিচার পাব।”
মুকুল রায় দলত্যাগের পরেই স্পিকারের কাছে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু। তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না করায়, তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর বিষয়টি সুপ্রিমকোর্টের নিয়ে যান তিনি। সেখানে স্পিকারকে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশের পর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আইনি প্রক্রিয়াকে সব সময় আমরা সম্মান করেছি। মুকুল রায় বিধায়ক পদ খারিজের যে বিষয়টি রয়েছে তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।”