ফের উত্তপ্ত দিল্লি! পুলিশ- বিক্ষোভকারী খণ্ডযুদ্ধ, ভাঙচুর স্কুল বাস, বন্ধ সাতটি মেট্রো স্টেশন

আমাদের ভারত,১৭ ডিসেম্বর:সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দিল্লি। আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের ফের খণ্ডযুদ্ধ সিলামপুর এলাকায়।ঘটনার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সাতটি মেট্রো স্টেশন।

দুপুর ১২ টা নাগাদ সিলামপুর এলাকায় দিল্লির প্রায় হাজার দুয়েক মানুষ নাগরিকত্ব আইনে বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখান। ঞবিক্ষোভকারীরা জামিয়া কাণ্ডের ঘটনার নিন্দায় সরব ছিলেন আজ। পুলিশের অভিযোগ বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের দিকে ইট ছুড়ে মারে। তখন পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।মুহূর্তে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। একটি স্কুল বাসে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি পুলিশ পিকেটে। ইটবৃষ্টি থামাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ঘটনায় দু’জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে। তড়িঘড়ি এনক্লেভ বিহার সহ সাতটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় সিলামপুর-জাফরবাদের রাস্তা। জাফার বাদেও জমায়েত হয়েছিল বহু মানুষ।

শুক্রবার থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। রবিবার বিক্ষোভকারীরা পথে নামলে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সাধারণ মানুষও। সেদিনের বিক্ষোভ এক হিংসাত্মক চেহারা নেয়। একের পর এক বাস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।ঐদিন রাতে দিল্লি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশ করে ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে ধুন্দুমার চলে আলীগড় এবং পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও। জামিয়া মিলিয়া এবং আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দের ওপর পুলিশি অভিযান নিয়ে সোমবার শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। এই মামলা কোর্টে উঠলে প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন এটা আইন-শৃংখলার সমস্যা হাইকোর্টে আবেদন করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *