ক্যাম্পের জওয়ানদের মানসিক অবস্থা নিয়ে কেন ভাবে না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ? প্রশ্ন নিহত পুরুলিয়ার জওয়ানের পরিবারের

সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ৪ ডিসেম্বর: ছত্তিসগড়ের নারায়ণপুরের ক্যাম্পে নিহত হন পুরুলিয়ার আড়শা থানার খুকড়ামুড়া গ্রামের বিশ্বরূপ মাহাতো(২৬)। তাঁর পরিবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল।

চনমনে ছেলের বিনা কারণে সতীর্থের গুলিতে মৃত্যু হবে ভাবতে পারেনি বিশ্বরূপের পরিবার। তাঁদের প্রশ্ন ক্যাম্পের জওয়ানদের মানসিক অবস্থা নিয়ে কেন ভাবে না ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ? যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ উত্‍স্বর্গ করেছেন তাঁদের নূন্যতম মানসিক শান্তিতে রাখা যাবে না শিবিরে? ছেলের মৃত্যুর জন্য প্রশাসনিক পদ্ধতিকে দায়ী করেছেন মৃত বিশ্বরূপের পরিবার। মৃতের বাড়িতে অপ্রত্যাশিত শোকের খবর অনেক দেরিতে পৌঁছায়। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে কর্মস্থল থেকে ছুটে আসেন বিশ্বরূপের বড় দাদা আশিস। সেই সময় বাবা ভীম চন্দ্র মাহাতো বাড়িতে ছিলেন। মা ভাগ্য মাহাতো মাঠে গিয়েছিলেন কাজে। মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাড়ির সবাই।শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা গ্রামে।
   

তিন ভাইয়ের মধ্যে বিশ্বরূপ ছোট। মেজ ভাই সুবোধ মাহাতো রাজ্য পুলিশের জুনিয়ার কনস্টেবল। বাঁকুড়ার খাতড়াতে কর্মরত তিনি। বিশ্বরূপ পুরুলিয়ার
জেকে কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় ২০১৪ সালে ইন্দো তিব্বতীয় বর্ডার পুলিশ(আইটিবিপি)-এ কাজে যোগ দেন। প্রথমে রাজস্থানের যোধপুরে কাজে যোগ দেন। পরে গ্যাংটক এবং প্রায় দেড় বছর আগে ছত্তিসগড়ের নারায়ণপুরের ক্যাম্পে যোগ দেন তিনি। কালীপূজার সময় ছুটিতে এসে কুড়ি দিন পর কর্মস্থলে ফিরে যান। তার পর থেকে নিয়মিত রাতে মা বাবা ও বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা হতো তাঁর। মঙ্গলবার রাতেও বিশ্বরূপ মা বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। আর আজ ছেলের মৃত্যুর খবর পেল পরিবার।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here