আমাদের ভারত, ৩ জুন : ভারতে টিকাকরনের জন্য এবার ক্ষতিপূরণের দায় থেকে ছাড় চাইল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) কর্তা আদর পুনাওয়ালা। সেরাম কর্তার বক্তব্য, যদি বিদেশী কোম্পানি ‘ফাইজার’ এবং ‘মডার্না’ কে তাদের টিকার জন্য ক্ষতিপূরণে ছাড় দেওয়া হয় তাহলে শুধুমাত্র সেরাম ইনস্টিটিউটই নয় টিকা প্রস্তুতকারী সব কোম্পানিকেই এই ছাড় দেওয়া উচিৎ।
প্রসঙ্গত, গত ২জুন ফাইজার এবং মডার্নাকে ট্রায়াল ছাড়াই ভারতে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোম্পানিগুলি যদি জরুরী ভিত্তিতে টিকাকরণে অনুমতি চায়, তাহলে তাদের ক্ষতিপুরণেও ছাড় দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আর তারপরই সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফেও আর্জি জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে সেরাম ইনস্টিটিউট কোভিশিল্ড এবং কোভোভ্যাক্সের পর এবার স্পুটনিক ভি উৎপাদনের অনুমতি চেয়ে আবেদনপত্র পাঠিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে।
বর্তমানে কেবল ডঃ রেড্ডিজ ল্যাবরেটরি থেকেই রাশিয়ার স্পুটনিক ভি আমদানি করা হচ্ছে বলে খবর। গত ২৯ মে রবিবার প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে ডঃ রেড্ডিজ ল্যাবরেটরি জানায় যে ভারতে স্পুটনিক ভি-এর প্রথম ২৫০ মিলিয়ন ডোজ আমদানি এবং বিতরণের অনুমোদন কেবল তাদেরই আছে। অন্য কোনও তৃতীয় কোম্পানি ভারতে মধ্যস্থাকারী হয়ে এই টিকা সরবরাহ করতে পারবে না। ইতিমধ্যেই স্পুটনিক-ভি-এর ৫৬.৬ টন ডোজ এসে পৌঁছেছে ভারতে। অতিরিক্ত ৫ শতাংশ জি.এস.টি দিয়ে ,এই টিকার মুল্য প্রায় ৯৯৫ টাকার কাছাকাছি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
অর্থ্যাৎ টিকাকরনে দুটি ডোজে আনুমানিক ২০০০ টাকা খরচ হতে পারে। তবে বর্তমানে দেশে টিকাকরনে ব্যবহৃত কোভিশিল্ড এবং কোভোভ্যাক্সের মূল্য স্পুটনিক-ভি-এর তুলনায় কম।