আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২২ সেপ্টেম্বর: আমানবিক ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর সেন্ট্রাল মডেল হাই স্কুলে। করোনা আবহের মধ্যেই বেসরকারি এই স্কুলে শুরু হয়েছে অনলাইন হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা। অভিযোগ, এই স্কুলে যে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের চলতি মাসের ফি জমা দিতে পারেনি, তাদের কাছে পৌঁছায়নি অনলাইন হাফ ইয়ারলি পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র। ফলে তারা এবছর কেউ হাফ ইয়ারলি পরীক্ষায় বসতে পারছে না।
বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা দিতে না পারায় হতাশ। ওই ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকরা স্কুলে এসে অনুরোধ করে যে আগে তাদের সন্তানদের অনলাইন পরীক্ষা দিতে দেওয়া হোক, পরে কিস্তিতে স্কুলের মাসিক ফি তারা মিটিয়ে দেবেন। তখন স্কুলের পক্ষ থেকে ওই ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের জানানো হয়, বেতন দিলে তবেই স্কুলের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব।
এদিকে পরীক্ষা দিতে না পেরে হতাশ বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী। তাদের বক্তব্য, এই করোনা মহামারীর কারনে অভিভাবকদের কাজ বন্ধ থাকায় আর্থিক সমস্যা আছে পরিবারে, যে কারনে স্কুলের বেতন সময় মত মেটানো যায়নি। ধীরে ধীরে অভিভাবকরা মিটিয়ে দেবে। কিন্তু পরীক্ষা না দেওয়াটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। স্কুল ম্যানেজমেন্ট একটু মানবিক দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে ভাবতে পারত স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীদের বিষয়টা। এক অংশের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দেবে, অন্যরা পরীক্ষা দিতে পারছে না, এই বিষয়টা ঠিক নয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রশ্নপত্র সবার কাছে পৌছয়নি। সমস্যা হচ্ছে সার্ভারে, যার ফলে যারা বেতন মেটায়নি তাদের কাছে স্কুলের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌঁছচ্ছে না।