মাউথ অর্গানের সুরে বন্দেমাতরম গান গেয়ে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ হার্মনিকা শিল্পী হিসাবে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলল শান্তিপুরের কিশোর

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৯ আগস্ট: মাউথ অর্গানের সুরে বন্দেমাতরম গান গেয়ে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ হার্মনিকা শিল্পী হিসাবে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলল শান্তিপুরের এক কিশোর। তার এই সাফল্যে খুশির মেজাজ তার পরিবারে।

শান্তিপুর কামার পাড়ার বাসিন্দা উৎপল মণ্ডল পেশায় শাড়ির নকশা তৈরি করে। সেই উপার্জন থেকেই সংসার চালানোর পাশাপাশি এগারো বছর বয়সী ছোট্ট সৌমজিৎ- এর পড়াশোনার খরচ থেকে শুরু করে সৌমর বিভিন্ন শখ পূরণ করেন। গত এক বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শান্তিপুরের যুবক শাওন পালের মাউথ অর্গানের মাধ্যমে বিভিন্ন গানের সুর ছড়িয়ে যায়। বাড়িতে বসেই সৌম্যর মা ও বাবা মোবাইলে শাওনের মাউথ অর্গানের সুর শোনে। সেই থেকেই সৌম্যর বাবা- মায়ের ইচ্ছে জাগে সৌম্য শাওনের কাছ থেকে মাউথ অর্গানের প্রশিক্ষণ নেবে। তারপর যোগাযোগ করে শাওনের সাথে। এক বছরের চেষ্টায় ছোট্ট সৌমজিৎ পৌঁছে যায় ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে। গতকালই কুরিয়ারের মাধ্যমে শান্তিপুরের কামারপাড়ার ঠিকানায় সৌম্যর বাড়িতে আসে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের সার্টিফিকেট। ছোট্ট সৌম্যর এই সাফল্যে খুশির জোয়ারে মেতে ওঠে তার পরিবার।

আজ সৌম্যর বাবা উৎপল মণ্ডল বলেন, মাত্র এগারো বছর বয়সে পড়াশোনার ফাঁকে ছেলের এই সাফল্যে গর্ভে বুক ভরে যাচ্ছে। যদিও ছোট্ট সৌমর ইচ্ছে আগামী দিনে আরো বড় ধরনের কিছু করার। এছাড়াও গিনেস বুক অব রেকর্ডসে নাম তোলার জন্য ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ছোট্ট সৌম্য।

ছোট্ট সৌমর মাউথ অর্গানের শিক্ষক শাওন পাল বলেন, সৌম্য যখন তার কাছে মাউথ অর্গান শিখতে এসেছিল তখন লক্ষ্য করা গেছে সৌমর বাঁশি বাজানোর দিকে বেশি ঝোঁক। কিন্তু সৌমর বাবা-মা অনুরোধ করায় সৌম্যকে মাউথ অর্গানের সুর শেখানো হয়। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে মাউথ অর্গানের সুর শিখে সৌম্য ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলতে সক্ষম হয়। আমি খুবই গর্বিত, যে আমার কাছ থেকে মাউথ অর্গানের সুর শিখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছে ছোট্ট সৌম্য। তার এই সাফল্যে শুধু তার পরিবার গর্ব বোধ করছে না, গোটা শান্তিপুরবাসী গর্ব বোধ করছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা হারমোনিকা শিল্পী, ডক্টর ববিতা বসু এবং গৌরব দাস সৌমজিতের এই সাফল্যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *