আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৩ জানুয়ারি : পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ফের রদবদল। আবার কোপ পড়ল অধিকারী পরিবারে। দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো শিশির অধিকারীকে। নতুন সভাপতি হলেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। সহ সভাপতি হলেন কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুন জানা।
এব্যাপারে শিশির অধিকারী বলেন, এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমি কোনও কপি পাইনি। আমার চোখে আপারেশান হচ্ছে, আপারেশান টেবিলের রয়েছি। দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ-সভাপতি তথা কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুন জানা বলেন, এই নতুন দায়িত্ব দেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সকল মানুষের পাশে দাঁড়াবো। শিশিরবাবু প্রসঙ্গে তিনি বলেন শিশিরবাবুকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। অসুস্থতার কারনে তিনি এখন বাড়ি থেকে বেরাছেন না। তাই হয়তো এই সিন্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ এর পাশাপাশি প্রশাসক বদল হয়েছে তমলুক পৌরসভা এবং এগরা পুরসভায়। তমলুক পুরসভায় পুর প্রশাসক রবীন্দ্রনাথকে সরিয়ে নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় এবং কমিটিতেও রদবদল করা হয়েছে। নিযুক্ত করা হয়েছে আরও ছয়জনকে। পৃথ্বীশ নন্দী, চন্দন প্রধান, শক্তি প্রসাদ ভট্টাচার্য, চন্দন রায় ও স্নিগ্ধা মিত্র এই পাঁচজন প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমানে কোওর্ডিনেটর। চিত্ত রঞ্জন মাইতি নামে এক তৃণমূলের নেতাকেও যুক্ত করা হয়েছে কমিটিতে। বদল করা হয়েছে এগ্রা পুরসভার প্রশাসককে সেখানে বর্তমান পৌর প্রশাসক শংকর বেড়াতে সরিয়ে নতুন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। তমলুক এবং এগরা দুই পুরসভায় পুরানো প্রশাসকরা শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ বলে তাদেরকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। যদিও দুই জায়গায়ই সরিয়ে দেওয়া প্রশাসকরা কোন কথাই বলতে চাননি এই বিষয়ে।
এদিকে আবার কাঁথি পুরসভার প্রশাসক কমিটিতে ঢুকলেন রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, জেলা পরিষদ প্রাক্তন সহকারী সভাপতি মামুদ হোসেন ও রত্নদ্বীপ মান্না। সম্প্রতি অধিকারী পরিবারের ছোট পুত্র সৌমেন্দু কে প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে কাঁথি পুরসভা প্রশাসক হয়েছেন সিদ্ধার্থ মাইতি। কমিটিতে রয়েছেন সেক সাবুল, সুবল মান্না ও হাবিবুর রহমান৷ সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরানোর পরে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন।