পুরুলিয়ার বরাবাজারে মহিলা চিকিৎসকের পচা গলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য, নিখোঁজ স্বামী

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১৮ সেপ্টেম্বর : বরাবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসন থেকে মহিলা চিকিৎসক সুচিত্রা সিং’য়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে উঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিক ডাঃ রবীন সরেনের কথায়, গত ১১ বছর ধরে এই হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন সুচিত্রা সিং। সহ কর্মী চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স এবং রোগীদের সাথে খুবই ভালো ব্যবহার করতেন তিনি। চিকিৎসক হিসেবে দক্ষ ছিলেন সুচিত্রা সিং। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসনেই চার বছরের সন্তানকে নিয়ে থাকতেন তিনি। মাঝে মধ্যে স্বামী এই আবাসনে আসতেন সুচিত্রা দেবী ও তাঁর সন্তানের সাথে দেখা করতে। গত কয়েকদিন আগে ছুটি নিয়ে অন্যত্র গিয়েছিলেন। স্বামী, সন্তান সহ ফিরেছিলেন সোমবার বিকেলে। সেইদিনই শেষ বারের মতো দেখা গিয়েছিল আবাসনে। তারপর সুচিত্রা সিং সহ তাঁর স্বামী এবং সন্তানের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। হাসপাতালেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।

গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সুচিত্রা সিংয়ের আবাসন থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হওয়ায় সন্দেহ হয় অন্যান্য আবাসিকদের। খবর দেওয়া হয় বরাবাজার থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গতকাল বিকেলে দেহ উদ্ধার করে।

বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ পুরুলিয়ায় আসেন সুচিত্রার দাদা ডা: সলিল কুমার সিনহা। হাসপাতালের মর্গের কাছে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “স্বামীর সঙ্গে টাকা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। বোন উপার্জন করলেও তা দখলে থাকত না তার। টাকা নিজের হাতে রাখত তার স্বামী। ইদানিং বেগতিক দেখে নিজের উপার্জন হাতের মুঠোয় রাখার চেষ্টা করছিল বোন। আর তাই এই নিয়ে সম্পর্ক খারাপের দিকে যায় দু’জনের। এই ঘটনার জন্য বোনের স্বামী দায়ী।” এই নিয়ে বরাবাজার থানায় অভিযোগ করেন বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *